Amethi Murder Case

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে চিড়, তার জেরেই কি অমেঠীতে একই পরিবারের ৪ জন খুন? আশঙ্কা আগেই ছিল গৃহবধূর

অমেঠীতে একই পরিবারের চার সদস্যকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশি জেরায় ধৃতের দাবি, প্রায় বছর দেড়েক ধরে গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৪৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

উত্তরপ্রদেশের অমেঠীতে গত বৃহস্পতিবার এক দম্পতি এবং তাঁদের দুই কন্যাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার তদন্তে শুক্রবারই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে জেরা করতেই খুনের মামলার তদন্তে এ বার নতুন তথ্য পুলিশের হাতে। ধৃতের দাবি, প্রায় বছর দেড়েক ধরে গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। সেই সম্পর্কে তিক্ততার কারণেই কি চার জনকে খুন করলেন অভিযুক্ত? ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

অমেঠীর পুলিশ সুপার অনুপ সিংহ জানিয়েছেন, জেরার সময় অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “অভিযুক্ত জানিয়েছেন মহিলার সঙ্গে প্রায় দেড় বছর ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। কিন্তু সেই সম্পর্কে সম্প্রতি তিক্ততা তৈরি হয়েছিল এবং তা নিয়ে মানসিক চাপে ভুগছিলেন অভিযুক্ত। অনুমান করা হচ্ছে, সেই কারণেই ওই পরিবারের সদস্যদের খুন করেছেন তিনি।” পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, দম্পতি ও তাঁদের দুই নাবালিকা কন্যাকে খুন করতে ১০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলেন অভিযুক্ত। এর পর তিনি নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, কিন্ত ব্যর্থ হন বলে খবর।

বৃহস্পতিবার ওই খুনের ঘটনার পর আরও একটি বিষয় প্রকাশ্যে আসে। মাস দুয়েক আগেই ধৃতের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন গৃহবধূ। অভিযুক্ত তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। একাধিক বার যৌন নিগ্রহের অভিযোগও জানিয়েছিলেন। এমনকি তাঁর বা পরিবারের কোনও ক্ষতি হলে, সেই ঘটনার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিই দায়ী থাকবেন বলে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন মহিলা।

Advertisement

মহিলা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুন করার পর দিল্লিতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন অভিযুক্ত। সেই সময়েই শুক্রবার জওহর টোল প্লাজ়ার কাছে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। এর পরে শনিবার অপরাধে ব্যবহৃত পিস্তল ও মোটরবাইক উদ্ধারের জন্য অভিযুক্তকে অমেঠীতে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। এক বিবৃতিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, সেই সময় অভিযুক্ত এক পুলিশকর্মীর থেকে পিস্তল ছিনিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। তখনই অপর এক পুলিশকর্মী অভিযুক্তের পায়ে গুলি করেন। অভিযুক্তকে বর্তমানে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement