Miscellaneous

‘সেনা দিয়ে মেটাতে চাইলে পাক অধিকৃত কাশ্মীর কবেই আমাদের হত’

পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে বরাবরের টেনশন দূর করতে ঘুরিয়ে একটু ‘কড়া ডোজ’-এর ওষুধ দেওয়ারই ‘প্রেসক্রিপশন’ দিলেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:০৩
Share:

ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান অরূপ রাহা।-ফাইল চিত্র।

পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে বরাবরের টেনশন দূর করতে ঘুরিয়ে একটু ‘কড়া ডোজ’-এর ওষুধ দেওয়ারই ‘প্রেসক্রিপশন’ দিলেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহা।

Advertisement

তাঁর কথায়, ‘‘সেনা পাঠিয়ে সমস্যা মেটাতে চাইলে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর কবেই ভারতের হয়ে যেত। এত আলোচনা, বিরোধ, বিতর্কের কোনও দরকারই থাকত না। সেনা পাঠিয়েই হয়ে যেত কেল্লা ফতে! কিন্তু ভারত তা করতে চায়নি। ভারত ইস্যুটিকে এত দিন নৈতিকতার মানদণ্ডেই বিচার করতে চেয়েছে। তবে ওই এলাকা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ যে ভাবে বাড়ছে তাতে সেখানে লাগাতার সংঘর্ষে দাঁড়ি টানতে আর শান্তি ফেরাতে সেনাবাহিনীর অংশ হিসেবে বায়ুসেনার ব্যবহার হতে পারে। সেটাই জরুরি হয়ে পড়েছে।’’

এয়ার চিফ মার্শাল বৃহস্পতিবার একটি সেমিনারে বলেছেন, ‘‘ভারতের বিমানবাহিনীর যা ক্ষমতা, তা একমাত্র ’৭১-এর যুদ্ধেই সার্বিক ভাবে টের পাওয়া গিয়েছিল। এতগুলো বছরে ভারতীয় বিমানবাহিনী তো তার ক্ষমতা সে ভাবে দেখায়নি। দেখানোর প্রয়োজনও বোধ করেনি। আন্তর্জাতিক সমালোচনার শঙ্কায় এমনকী, ’৬২-র যুদ্ধেও ভারত বিমানবাহিনীকে পুরোপুরি ব্যবহার করেনি। তবে সময়ের প্রয়োজন বলে একটা কথা আছে। নিরাপত্তার প্রয়োজন বলেও একটা কথা আছে। ভারত তা এত দিন অনুভব করেনি। ভারত বরাবরই নির্জোট আন্দোলন ও রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদকে মর্যাদা দিয়ে এসেছে। মর্যাদা দিয়ে এসেছে ‘পঞ্চশীল’ নীতিকেও। আমার মনে হয়, এতে নিরাপত্তার প্রয়োজনটি কিছুটা উপেক্ষিতই হয়েছে। আর তার ফলে, পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের উদ্বেগের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’

Advertisement

তবে পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটাই বদলে গিয়েছে, বুঝিয়ে দিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল। বলেছেন, ‘‘নিজেদের রক্ষা করার জন্য আমরা (ভারত) এখন বিমানবাহিনীকে পুরোপুরি ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত।’’

আরও পড়ুন- ওবামার পর সহিষ্ণুতার পাঠ কেরির মুখে


আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement