কবি ও সমাজকর্মী কুমার বিশ্বাস। ফাইল চিত্র।
বাড়িতে পুলিশ আসায় নাম না করে আম আদমি পার্টি (আপ)-এর শীর্ষ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে এবং সরাসরি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে হুঁশিয়ারি দিলেন কবি ও সমাজকর্মী কুমার বিশ্বাস। উল্লেখ্য, কুমার প্রাক্তন আপ সদস্য। ২০১২ সালে আম আদমি পার্টির পত্তনের সময়ে তিনি ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
বুধবার সকালে টুইটারে কুমার লিখেছেন, “সকাল সকাল দরজায় পঞ্জাব পুলিশ। আমি যাঁকে দলে এনেছিলাম, সেই ভগবন্ত মানকে সতর্ক করে দিচ্ছি, তুমি দিল্লিতে বসা যে লোকটিকে পঞ্জাবের মানুষের দেওয়া ক্ষমতা নিয়ে খেলতে দিচ্ছ, সে এক দিন তোমাকে এবং পঞ্জাবকে ধোঁকা দেবে। দেশ যেন আমার এই হুঁশিয়ারি মনে রাখে।’’ টুইটের সঙ্গে তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের ছবিও দিয়েছেন কুমার।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ‘দিল্লিতে বসা লোকটি’ বলতে কেজরীওয়ালের কথাই বলতে চেয়েছেন কুমার। ২০১৮ সালে রাজস্থানের শীর্ষ পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় আপের তরফে। সেই থেকেই তিক্ততার সূত্রপাত। পুলিশ সূত্রে খবর, পঞ্জাবের নির্বাচনের আগে কেজরীওয়ালের নাম না করে কুমার অভিযোগ করেছিলেন, তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদের সমর্থক। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বা ‘স্বাধীন খলিস্তান’-এর প্রধানমন্ত্রী হতে চান তিনি। তার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়ানো ও হিংসায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়। সেই সঙ্গে দায়ের হয় একটি ভিডিয়ো বিকৃত করার অভিযোগও। এই সমস্ত অভিযোগের জেরেই এ দিন তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ।
বুধবার সকালে কুমারের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করার নোটিস দিয়ে আসে পুলিশ। সেই সময়ে কুমার বাড়ি ছিলেন না। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে
পুলিশের সঙ্গে কুমার যোগাযোগ না করেন, তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। কুমারের টুইটের উত্তরে দিল্লির আপ বিধায়ক নরেশ বালিয়ান লিখেছেন, ‘‘কাঁপছেন কেন? ভোটের আগে যা বলেছিলেন, তার প্রমাণ চাইতেই তো পুলিশ এসেছে। দিয়ে দিন। কথা শেষ!’’