বিপুল অম্বানী
নীরব মোদীর প্রতারণা মামলায় মঙ্গলবার রাতে নীরব ও মেহুল চোক্সীর একাধিক সংস্থার পাঁচ শীর্ষ আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ধৃতদের মধ্যে নীরবের সংস্থা, ফায়ারস্টার ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট (ফিনান্স) বিপুল অম্বানীও রয়েছেন। বিপুল সম্পর্কে শিল্পপতি মুকেশ ও অনিল অম্বানীর খুড়তুতো ভাই। ধীরুভাই অম্বানীর ছোট ভাই নাথুভাই অম্বানীর ছেলে তিনি।
বিপুলের সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছেন ফায়ারস্টার সংস্থার পদস্থ কর্তা অর্জুন পাটিল। মেহুল চোক্সীর মালিকানাধীন নক্ষত্র-গীতাঞ্জলি গ্রুপের মুখ্য অর্থনৈতিক আধিকারিক কপিল খান্ডেলওয়াল, গীতাঞ্জলির পদস্থ কর্তা নীতেন শাহীকেও ধরা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট কবিতা মানকিকার-ও। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের দাবি অনুযায়ী, ডায়মন্ডস আর ইউএস, সোলার এক্সপোর্টস এবং স্টেলার ডায়মন্ডস— নীরবদের এই তিনটি সংস্থার হয়ে অনুমোদিত স্বাক্ষরকারী ছিলেন কবিতা। এই নিয়ে নীরব মামলায় মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ১১।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ঋণ নিয়ে এই প্রতারণার মামলা আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টেও ওঠার কথা। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হবে। মামলাটি করেছেন আইনজীবী বিনীত ধান্দা। তাঁর দাবি, এত বড় মাপের প্রতারণার তদন্তে এসআইটি বা বিশেষ তদন্তকারী দল গড়া হোক। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্ণধারদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হোক। নীরব-মেহুলদের অবিলম্বে দেশে ফেরানো হোক। অর্থ মন্ত্রককে ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশিকা তৈরি হোক।
আরও পড়ুন:
মাল্যদের ফেরাতে কত খরচ, নীরব সিবিআই
আজ সু্প্রিম কোর্টে বিনীতের হয়ে আইনজীবী জে পি ধান্দা এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির দাবি তোলেন। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র তা শুনতে রাজি হন। ঠিক হয়েছিল, শুক্রবার শুনানি হবে। পরে বুধবারই মামলাটি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়। মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, কৃষকেরা ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করছেন। কিন্তু নীরব, মেহুলরা কেলেঙ্কারি সামনে আসার আগেই দেশ ছাড়ছেন।