প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতেই তাঁতিদের গয়না-বাড়ি বন্ধক রাখতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারাণসীর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে আলাপচারিতায় দাবি করলেন, বারাণসী ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’-এর কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। শাড়ি, হস্তশিল্প, দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য রফতানি কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে বারাণসী। তবে একটি বিষয়ে বারাণসীর বাসিন্দাদের সাবধান করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তা হল, করোনা সংক্রমণ রুখতে ‘বেনারসি পান’ খেয়ে থুতু ফেলার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ ছিল, লকডাউনের ফলে বারাণসীর তাঁতিদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই গয়না বা বাড়ি বন্ধক রেখে তাঁদের কাজ চালাতে হচ্ছে। কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, তিনি কিছু দিন আগেই বারাণসীর উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি, ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করেছেন। বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রকল্পও তার মধ্যে রয়েছে। সব মিলিয়ে এখন বারাণসীতে ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। তা থেকে বহু মানুষের রোজগার হচ্ছে। পর্যটন, ক্রুজ়, লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো, দশাশ্বমেধ ঘাটের পুনর্গঠন, গঙ্গা আরতির জন্য অডিয়ো-ভিডিয়ো স্ক্রিন বসানোর কাজ চলছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার শ্রমিকদের জন্য যে রোজগার প্রকল্প চালু করেছে, তাতে তাঁতি, হস্তশিল্পী ও অন্যান্য কারিগর, বিশেষ করে শহর থেকে গ্রামে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের রোজগারের বন্দোবস্ত হবে।