বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলের কর্মীদের বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি পিটিআই।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি কর্মীদের ভোটে জেতার ‘মন্ত্র’ও বলে দিলেন নমো।
তাঁর সরকারের ‘সুশাসন’-এর বার্তা পৌঁছে দিতে বিজেপি কর্মীদের ভোটারদের ঘরে ঘরে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন মোদী। মঙ্গলবার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলের কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী এ-ও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের আর বাকি ৪০০ দিন। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস।
২০১৪ সালে প্রথম বার দিল্লির মসনদে বসেছিলেন মোদী। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন নমো। এ বার লক্ষ্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। ‘হ্যাটট্রিক’ করতে মরিয়া মোদী বাহিনী। বছর ঘুরলেই বাজবে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। তার আগে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে জোর দিতে দলের কর্মীদের বার্তা দিলেন মোদী।
মোদী বাহিনীকে হঠাতে এক জোট হওয়ার কৌশল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চালাচ্ছে বিরোধী শিবির। বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় এনে বিজেপির বিজয়রথ ঠেকানো নিয়ে অতীতে বিস্তর আলোচনা সেরেছেন বিরোধী নেতারা। পদ্মশিবিরকে টক্কর দিতে শেষমেশ বিরোধীরা এক জোট হলে তা বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জের হতে পারে। পাশাপাশি, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচি শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সাংসদের এই কর্মসূচি সাড়া ফেলেছে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে রাহুলের সঙ্গে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে। এই যাত্রায় অংশ নিতে বিরোধী দলগুলিকেও আহ্বান জানিয়েছেন রাহুল। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের এমন নানা কৌশল রুখে তৃতীয় বার সরকার গড়ার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের মন পেতে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিলেন মোদী।
মোদীকে উদ্ধৃত করে ফডণবীস বলেছেন, ‘‘আমাদের হাতে মাত্র ৪০০ দিন রয়েছে (লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত)। মানুষের জন্য যা দরকার সব করতে হবে। আমাদের ইতিহাস তৈরি করতেই হবে।’’ বিশেষ করে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিদের দিকে বাড়তি নজর দেওয়ার কথা বলেছেন মোদী। কী ভাবে দেশে ‘সুশাসন’ ফিরিয়েছে তাঁর সরকার, তা তরুণ প্রজন্মকে জানাতে তাঁদের কাছে পৌঁছনোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে গ্রামীণ এলাকায় বিজেপির সংগঠন মজবুত করার বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সব শ্রেণির মানুষের কাছে গিয়ে বিজেপি সরকার কী কী ভাল কাজ করেছে, সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছেন মোদী। সংখ্যালঘুদের কাছে গিয়েও বিজেপি সরকারের ‘সুশাসনে’র প্রচার চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতে সেরা সময় চলছে। এই উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে আমাদের নিজেদের উৎসর্গ করা দরকার।’’
বিজেপি সূত্রে খবর, দেশ জুড়ে মোট ১৬০টি লোকসভা আসনকে চিহ্নিত করেছেন মোদী, শাহ, নড্ডারা। সেই আসনগুলির জন্য নেওয়া হচ্ছে বিশেষ কৌশল। প্রচারে ঝড় তুলতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত দিক।