প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল ছবি।
মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে জয়ের পথে বিজেপি। এই আবহে রবিবার সন্ধ্যায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে অবশ্য সকাল থেকেই উৎসবের আবহ। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী পৌঁছলে সেই উচ্ছ্বাস যে বাঁধ ভাঙবে, তা নিশ্চিত। কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে জয়ের পর বার্তাও দেওয়ার কথা মোদীর।
হালুয়া তৈরি শুরু হয়েছিল ভোরের আলো ফোটার সঙ্গেই। বেলা গড়াতে ৬ নম্বর দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের পার্টি অফিসে ঢাক, ঢোল নিয়ে হাজির হতে থাকেন সমর্থকেরা। চলতে থাকে আবির খেলা, মিষ্টিমুখের পালা। আসতে থাকেন নেতারাও। ভোটের ফলাফলের প্রবণতা যত স্পষ্ট হয়, বিজেপির ঝাঁ-চকচকে সদর দফতর চলে যায় কর্মী-সমর্থকদের জিম্মায়। মোদী নামের জয়ধ্বনি উঠতে থাকে মুহুর্মুহু। মোদীর প্ল্যাকার্ডের সামনে ধূপধুনো জ্বেলে রীতিমতো পুজো করতেও দেখা যায় বিজেপির কতিপয় কর্মী, সমর্থককে।
মধ্যপ্রদেশ থেকে ছত্তীসগঢ়— ভোটের ফলে যত স্পষ্ট হয়েছে যে, গেরুয়া ঝড় বইছে, তত বার নেতাদের মুখে উঠে এসেছে মোদী-নাম। জয় স্পষ্ট হতেই মধ্যপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বলে দেন, ‘‘মোদীজি তো মধ্যপ্রদেশের মনের মধ্যে রয়েছেন। আর মোদীজির মনে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। এই প্রবণতা বলছে, ডাবল ইঞ্জিন সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে পরিপূর্ণ ভাবে সফল হয়েছে। এ ছাড়াও, মোদীজির অধিনায়কত্বে যে সমস্ত প্রকল্পগুলির সফল রূপায়ণ হয়েছে, তাতেও প্রবল ভাবে উপকৃত হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মানুষ।’’
ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা রমন সিংহও মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি বলেছেন, ‘‘মানুষ জানতেন যে, ওরা (কংগ্রেস) যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা স্রেফ ভাঁওতা। মানুষ জানেন, ভূপেশ বঘেল প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ। ঠিক এই কারণেই রাজ্যবাসী প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রেখেছেন’’
একই দৃশ্য মরুরাজ্য রাজস্থানেও। সেখানেও কংগ্রেস সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি। সেখানেও গণনার প্রবণতা স্পষ্ট হওয়ার পর থেকেই মুহুর্মুহূ জয়ধ্বনি চলেছে মোদীর নামে। এই বিজয়ের আবহেই রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে হাজির হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জয়ের আবহে কর্মী-সমর্থকদের কী বার্তা দেন, সে দিকেই তাকিয়ে সবাই।