INDIA

৬ ডিসেম্বর, বাবরি ধ্বংসের দিনে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক চাইছে কংগ্রেস, বিরোধী নেতাদের ফোন খড়্গের

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে দেন করসেবকরা। সেই দিনকেই বিজেপি বিরোধী জোটের বৈঠকের দিন স্থির করার পিছনে ভিন্ন তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:২০
Share:

বাবরি ধ্বংসের দিন ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক চাইছে কংগ্রেস। — ফাইল ছবি।

চার রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলাফলের আবহে বিজেপি-বিরোধী মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক চাইল কংগ্রেস। আগামী ৬ ডিসেম্বর বিরোধী নেতৃত্বকে নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসতে আগ্রহী কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। বৈঠকের কথা জানিয়ে বিরোধী নেতৃত্বকে ফোন করাও শুরু করেছেন কংগ্রেস সভাপতি খড়্গে বলে সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর।

Advertisement

‘ইন্ডিয়া টুডে’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস সভাপতি বৈঠকে হাজির থাকার আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল, ডিএমকে-সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতৃত্বকে ফোন করেছেন।

৬ ডিসেম্বর দিনটি অন্য একটি কারণে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৯২ সালের এই দিনেই অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে দিয়েছিলেন করসেবকরা। সেই জায়গাতেই আগামী বছর নবনির্মিত রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধী নেতৃত্ব মনে করছে, সেই রামমন্দির রথে চড়েই ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বাজিমাত করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। তাই বিরোধী জোটের বৈঠকের জন্য ৬ ডিসেম্বর তারিখ বেছে নেওয়ার পিছনে ভিন্ন তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

এর আগে মুম্বইয়ে মিলিত হয়েছিলেন বিজেপি-বিরোধী নেতৃত্ব। মুম্বইয়ের বৈঠকে শামিল হয়েছিলেন ২৮টি বিজেপি-বিরোধী দলের ৬৩ জন প্রতিনিধি। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় তিন মাস সময়। এই সময়ের মধ্যে আর সে ভাবে মিলিত হতে দেখা যায়নি ‘ইন্ডিয়া’ নেতৃত্বকে। যা নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সরাসরি কংগ্রেসকে কটাক্ষও করেছিলেন। তাঁর নিশানায় ছিল কংগ্রেসের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার মনোনিবেশ করা। এই প্রেক্ষিতে চার রাজ্যের ভোটের ফলাফলের দিনই কংগ্রেস সভাপতির বিরোধী নেতৃত্বকে ফোন করার মধ্যে আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। ‘দ্য হিন্দু’ সংবাদপত্রে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস সভাপতির বাসভবনেই আগামী ৬ ডিসেম্বরের বৈঠক চাইছে কংগ্রেস।

‘ইন্ডিয়া’র প্রথম বৈঠক হয়েছিল বিহারের রাজধানী পটনায়। সে রাজ্যে ক্ষমতায় নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং লালু প্রসাদের আরজেডি। দ্বিতীয় বৈঠক হয় কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে। সে রাজ্যে ক্ষমতায় কংগ্রেস। সেখানেই জোটের নাম স্থির করা হয়। মুম্বইয়ে তৃতীয় বৈঠকে ২৮টি বিরোধী দলের ৬৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকের শেষেই শরদ পওয়ারের কন্যা তথা এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে জানিয়েছিলেন, ইন্ডিয়ার চতুর্থ তথা পরবর্তী বৈঠক বসবে দিল্লিতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement