প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল ছবি।
দেশের কোভিড অতিমারি এবং টিকাকরণ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার সকালে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়েছে সেই বৈঠক। করোনাভাইরাসের নতুন রূপ বি১.১.৫২৯, যার নাম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিয়েছে ওমিক্রন। ভাইরাসের ‘ভয়াবহ’ এই রূপ যেন দেশে ছড়িয়ে না পড়ে তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে।
সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ, নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল, ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা-সহ অন্যান্যরা।
বৎসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং হংকংয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাসের এই রূপ। ইতিমধ্যেই এই রূপ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে হু। বার বার মিউটেশনের জেরে নিজের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছে করোনার এই রূপ, যা ‘উদ্বেগের’ বলে মত হু-এর।
এই রূপ নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন রাজ্যগুলিকে। ওমিক্রন যে সব দেশে পাওয়া গিয়েছে, সেখান থেকে কোনও অভিবাসী বা পর্যটক এলে তাঁদের উপর কঠোর নজরদারি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে।
প্রসঙ্গত দেশের দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এক মাস ধরেই আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের আশপাশে থাকছে। সেই সঙ্গে দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে ১২১ কোটিরও বেশি। এই পরিস্থিতি ভাইরাসের নতুন রূপ যাতে অতিমারির তৃতীয় ঢেউ দেশে না আনতে পারে তা নিয়েই পরিকল্পনা করতে বৈঠকে বসছেন মোদী।