প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
গত ডিসেম্বরে শীতকালীন অধিবেশনে সংসদের লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে বিরোধী শিবিরের ১৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। কার্যত বিরোধীহীন সংসদে বিল পাশ করানোর জন্য মোদী সরকারকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। আর আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাঙ্গামা করা নিয়ে বিরোধীদের পাল্টা নিশানা করলেন।
অন্তর্বর্তী বাজেট অধিবেশন (লোকসভা ভোটের আগে সংসদের এটি শেষ অধিবেশন) শুরুর আগে সংসদ চত্বরে আজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত দশ বছরে যে সব সাংসদ সংসদে হাঙ্গামা করেছেন, তাঁদের আত্মনিরীক্ষণ করা উচিত। তাঁরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বস্ত্রহরণ করেছেন। সংসদে যাঁরা হাঙ্গামা করেছেন, কেউ তাঁদের মনে রাখবে না।’’
পাল্টা অভিযোগ তুলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, ‘‘উনি নিজে সব নিয়ম মেনে চলেন, শৃঙ্খলা মেনে চলেন, সংবিধান মেনে চলেন, তাই ওঁর পরামর্শ মেনে চলতে হবে বৈকি! বিজেপি-ই তো ১৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে তিন দিনে ১৪টি বিল পাশ করিয়ে সংসদের বস্ত্রহরণ করেছে। গত দু’দশকে, ২০০৯-২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে বিজেপি সবথেকে বেশি সংসদে হাঙ্গামা করেছে।’’ তিনি এ-ও মনে করিয়ে দেন, এই সপ্তদশ লোকসভায় ১৭২টি পাশ হওয়া বিলের মধ্যে ৬৪টি বিলে এক ঘণ্টার কম সময় আলোচনা হয়েছে। রাজ্যসভায় একই ভাবে ৬১টি বিল পাশ হয়েছে। পাঁচ বছরে কোনও ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের কটাক্ষ, বিজেপির সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি সংসদে সাম্প্রদায়িক কুকথা বলেছেন। বিজেপি সাংসদদের বিরুদ্ধে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড সবথেকে বেশি। বিজেপি সাংসদই সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনকারীদের ভিতরে ঢুকতে সাহায্য করেছিলেন। তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করায় বিজেপি সরকার ১৪৬ জন বিরোধীকে সাসপেন্ড করে বিল পাশ করিয়েছিল। তাই ‘আত্মনিরীক্ষণ’ নরেন্দ্র মোদীর নিজের করা উচিত।