প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই
মোক্ষম দিনে রাবণ-রামে যুদ্ধ বাধালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
যেখানে যে ভোটই হোক বিজেপির মুখ মোদী, তাই মোদীকে দশানন রাবণের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। মাঝের তিন দিন রা কাড়েননি মোদী। আজ গুজরাতের কালোলে যখন প্রধানমন্ত্রী বললেন— ‘গুজরাত রামভক্তদের মাটি, সেখানকার কাউকে রাবণ বলাটা কোনও ভাবেই গুজরাতের মানুষ মেনে নেবে না’— তখন রাজ্যের ৮৯টি আসনে ভোট চলছে পুরোদমে। একই কথা শোনা গেল অমিত শাহের মুখেও।
অতীতে যত বারই কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীকে মওত কি সদাওগর-জাতীয় আক্রমণ শানিয়েছে তত বারই গুজরাতের মানুষ প্রবল ভাবে বিজেপির সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। রাজনীতির অনেকের মতে, খড়্গের আক্রমণকে ফিরিয়ে দিতে আজ তাই পরিকল্পিত ভাবে ভোটের দিনকে বেছে নিলেন মোদী। গুজরাতবাসীর নাড়ি বুঝেই আজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আসলে কংগ্রেসের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে কে কত খারাপ ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করতে পারেন। কেউ আমায় রাবণ বলে, কেউ রাক্ষস আবার কেউ বা আরশোলা।’’ তার পরেই গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘আমি জানি খড়্গে যা বলেছেন তা তাঁর নিজের কথা নয়। আমি ওঁকে চিনি, সম্মানও করি। আসলে খড়্গেকে পিছন থেকে পরিবার নিয়ন্ত্রণ করছে।’’ আমদাবাদের জনসভায় যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘কংগ্রেস গোড়া থেকেই ওই মন্দির নির্মাণের বিরোধিতা করে এসেছে। যে মুহূর্তে সমস্যা (কংগ্রেস) দূর হয়েছে, মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়েছে।’’
পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেসও। জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘এই মোদীই সংসদে দাঁড়িয়ে মনমোহন সিংহকে বলেছিলেন তিনি রেনকোট পরে স্নান করার কৌশল জানেন। সেটা কুকথা ছিল না?’’ কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেড়ার কথায়, ‘‘মোদী বিভিন্ন সময়ে সনিয়া গান্ধী সম্পর্কে ইতালির মেয়ে, কংগ্রেসের বিধবা, জার্সি গাই, শূর্পণখার মতো শব্দ ব্যবহার করেছেন। উনি বলতে পারেন! আর ওঁর সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না!’’
ভোট শেষে সন্ধ্যায় গুজরাতে তিরিশ কিলোমিটার শোভাযাত্রা করেন মোদী। বিজেপির দাবি, গোটা রাস্তায় মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভিড় জমিয়েছিলেন।