রতন টাটা। —ফাইল চিত্র।
রতন টাটার প্রয়াণের এক মাস পরে এক নিবন্ধে তাঁকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, ‘‘কর্মব্যস্ত শহর থেকে শহরতলি থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর অনুপস্থিতি গভীর ভাবে অনুভূত হচ্ছে।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, পোড়খাওয়া শিল্পপতি, উদীয়মান উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে কঠোর ভাবে পরিশ্রমী পেশাদার, সকলেই তাঁর অভাবে শোকপ্রকাশ করেছেন। বিশ্ব জুড়েই টাটার অনুপস্থিতিপ্রভাব ফেলেছে।
মোদীর মতে, যুব সমাজের কাছে রতন টাটা ছিলেন এক অনুপ্রেরণা। স্বপ্নকে সফল করার জন্য যে লেগে থাকতে হয়, সহানুভূতি ও নম্রতা থাকলেও যে সাফল্য অর্জন করা যায় তা তিনি বারে বারে মনে করিয়ে দিয়েছেন। মোদীর কথায়, ‘‘অনেকের কাছেই তিনি ছিলেন ভারতীয় মূল্যবোধের সর্বোত্তম প্রতিনিধি এবং সংহতি, উৎকর্ষ ও সেবার সুদৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতীক।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, রতন টাটার নেতৃত্বে টাটা গোষ্ঠী নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছিল। গোটা বিশ্বের সম্ভ্রম অর্জন করেছিল সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, অন্যদের স্বপ্ন সফল করার জন্য যে সমর্থন রতন টাটা জোগাতেন তার তুলনা মেলা ভার। সাম্প্রতিক কালে ভারতে স্টার্ট-আপ পরিমণ্ডলের পরামর্শদাতা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। মোদীর মতে, তরুণ উদ্যোগীদের যে ভারতের ভবিষ্যৎকে রূপ দেওয়ার ক্ষমতা আছে, তা বুঝতে পেরেছিলেন রতন টাটা। সেই ক্ষমতাকে তিনি স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। ওই উদ্যোগীদের পিছনে থেকে স্বপ্নদ্রষ্টাদের এক প্রজন্মের ক্ষমতায়ন ঘটিয়েছেন। মোদীর মতে, রতন টাটার মহত্ব ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা প্রাণী জগতে। এই প্রসঙ্গে প্রয়াত শিল্পপতির গভীর পশুপ্রীতি ও পশুকল্যাণের যাবতীয় উদ্যোগে তাঁর সহায়তার কথা উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ও পরে প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে প্রয়াত রতন টাটার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগের কথাও স্মরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘সঙ্কটের সময়ে কোটি কোটি ভারতীয়ের কাছে রতন টাটার দেশপ্রেম উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মুম্বইয়ে ২৬/১১-এর জঙ্গি হামলার পরে যে দ্রুততার সঙ্গে তিনি তাজ হোটেল আবার চালু করেছিলেন, তা গোটা জাতিকে এই বার্তা দিয়েছিল যে ভারত ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। সন্ত্রাসের সামনে নতিস্বীকার করবে না।’’
স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রেও প্রয়াত টাটার অবদানের কথা স্মরণ করেছেন মোদী। জানিয়েছেন, ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর বড় ভূমিকাছিল। সংবাদ সংস্থা