দেশে বাড়ছে বাঘের সংখ্যা, বাঘসুমারীর তথ্য প্রকাশ করে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি— পিটিআই।
দেশের বাড়ছে বাঘের সংখ্যা। কর্নাটকের বন্দিপুর ব্যাঘ্রপ্রকল্প ঘুরে দেখার পর বাঘসুমারির তথ্য প্রকাশ করে এমনই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, দেশে বাঘের সংখ্যা বাড়ছে ৬.৭৪ শতাংশ হারে। ২০১৮ সালে ভারতে বাঘের সংখ্যা ছিল ২,৯৬৭। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩,১৬৭।
ভারতের জাতীয় পশু বাঘ। কিন্তু একটা সময় নির্বিচার নিধনের জেরে ভারতের অরণ্যে বাঘের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। সেই সমস্যার দিকে নজর পড়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর। তাঁরই উদ্যোগে ১৯৭৩ সালে যাত্রা শুরু ভারতের ব্যাঘ্রপ্রকল্পের। তেমনই একটি ব্যাঘ্রপ্রকল্প দাক্ষিণাত্যের বন্দিপুর। রবিবার যে বন্দিপুরে ২০ কিলোমিটার লম্বা জঙ্গল সাফারির স্বাদ নিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোদী। সাফারি শেষে মোদীর হাত দিয়েই আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশিত হয় বাঘসুমারির ফলাফল। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভারতে ৬.৭৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বাঘের সংখ্যা।
পরিসংখ্যা বলছে, ২০০৬ সালে ভারতে মাত্র ১,৪১১টি বাঘ অবশিষ্ট ছিল। ২০১০ সালে তা বেড়ে হয় ১,৭০৬টি। ২০১৪ সালে ভারতে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২,২২৬টি। ২০১৮ সালে ভারতে বাঘের সংখ্যা ছিল ২,৯৬৭টি। ২০০৬-এর সঙ্গে তুলনা করলে যা ১২৪.৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি।
শুধু বাঘের সংখ্যাই নয়, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যাও। ২০০৬ সালে ভারতে ২৮টি ব্যাঘ্রপ্রকল্প ছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫১টি। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে দিয়ে সংরক্ষণের কারণে গুজরাতের গিরে সিংহের সংখ্যায় ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ করা গিয়েছে। চিতাবাঘ বা লেপার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৩ শতাংশ।
বর্তমানে ভারতে সবচেয়ে বেশি বাঘ পাওয়া যায় মধ্যপ্রদেশে। বর্তমানে সেখানে ৫২৬টি বাঘ আছে। ২০১৪ সালে এই রাজ্যে মোট বাঘের সংখ্যা ছিল ৩০৮টি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক। সেখানে ৫২৪টি বাঘ আছে এবং উত্তরাখণ্ডে রয়েছে ৪৪২টি বাঘ।