কয়েক মাস আগে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর পরনে একটি জহর কোট দেখে প্রশংসা করেছিলেন সুদীপ। সেটা মাথায় রেখে ঠিক সেই কাপড় মোদী পাঠিয়ে দেন সুদীপকে।
নরেন্দ্র মোদী এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
পোশাকি নয়, পোশাকের সৌজন্য। দুই মেরুর রাজনীতিককে মিলিয়ে দিল জহর কোট! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
দু’জনের চেহারার সাদৃশ্য নিয়ে সরস গুঞ্জন শোনা যায় সেন্ট্রাল হল এবং সংসদীয় করিডরে! পোশাক, দাড়ির রংয়ে রয়েছে সাযুজ্য। কিন্তু দু’জনের রাজনীতি দুই মেরুর। প্রত্যেক দিনের সংসদীয় রাজনৈতিক সংঘাত তো রয়েছেই। মোদী জমানায় দীর্ঘ কারাবাসও করতে হয়েছে সুদীপবাবুকে। কিন্তু এহ বাহ্য। উভয়ের মধ্যে ব্যক্তিগত সৌজন্যের যে কোনও ঘাটতি নেই তা স্পষ্ট হল সাম্প্রতিক একটি ঘটনায়। আর তার অনুঘটক হয়ে থাকল জহর কোট!
সম্প্রতি সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে ইউক্রেন থেকে ফেরা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে তাঁদের সমস্যা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছিলেন সুদীপবাবু। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির ভিত্তিতেই সেই আলোচনা। কিন্তু আলোচনার আগেই সুদীপের পরা জহর কোটটির দিকে চোখ চলে যায় প্রধানমন্ত্রীর। আর তা যাবে নাই বা কেন! ওই কোটের কাপড় তো সুদীপকে পাঠিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীই! সূত্রের খবর, মোদী সুদীপকে বলেন, কোটটি খুবই মানিয়েছে সুদীপবাবুকে!
কয়েক মাস আগে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর পরনে একটি জহর কোট দেখে প্রশংসা করেছিলেন সুদীপ। সেটা মাথায় রেখে ঠিক সেই কাপড় মোদী পাঠিয়ে দেন সুদীপকে। বিনিময়ে সুদীপও কলকাতার জে এস মহম্মদ আলি থেকে দু’টি কোটের কাপড় কিনে পাঠান প্রধানমন্ত্রীকে। আর নিজে উপহার পাওয়া কোটটি বানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দিন পরে যান। মোদী সুদীপের কাছে জানতে চান তিনি কোন দর্জির থেকে কোট বানান।
রাজনীতিতে অবশ্য এই সৌজন্য বিরল নয়। প্রতি বছরই যেমন প্রধানমন্ত্রীকে আম পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার ধুতি, পাঞ্জাবি কখনও বাংলার সেরা মিষ্টিও উপহার দিয়েছেন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে।