প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —গ্রাফিক সনৎ সিংহ।
গাজ়ার হাসপাতালে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘গাজ়ার হাসপাতালে নৃশংস হামলায় এত মানুষের মৃত্যু দেখে আমি স্তম্ভিত। মৃতদের পরিবারের প্রতি জানাই আমার সমবেদনা। যাঁরা জখম হয়েছেন তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’’ সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘‘যাঁরা এর নেপথ্যে রয়েছেন, তাঁদের দায় নিতে হবে।’’
মঙ্গলবার গাজ়ার আল-আহলি আরব হাসপাতালে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে। তেল আভিভ যদিও এই হামলার জন্য হামাসকেই দায়ী করেছে।সেখানে যুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা চলছিল। গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রায় ৫০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন এই হামলায়। গত ১১ দিন ধরে চলা যুদ্ধে আহত এবং ঘরছাড়া মানুষদের অনেকেই ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন এখনও অনেকে। ইজ়রায়েলের এই হামলা ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে গাজ়া।
পাল্টা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, উগ্রপন্থীরা হামলা চালিয়ে তেল আভিভকে কলুষিত করতে চাইছে। নেতানিয়াহুর আরও বক্তব্য, ইজরায়েলি সেনার তরফে তিনি জেনেছেন, গাজ়ার হাসপাতালে হামলার জন্য দায়ী সেখানকার সন্ত্রাসবাদীরাই। যদিও তিনি হামাসের নাম উচ্চারণ করেননি।
হামাসের হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন মোদী। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। প্রশ্ন ওঠে, যে প্রধানমন্ত্রী মণিপুর নিয়ে মুখ খুলতে ৭৮ দিন নিয়েছিলেন, তিনি কেন ভারতের বিদেশনীতির উল্টো পথে হেঁটে, ন’ঘণ্টার মধ্যে একপেশে ভাবে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ালেন? বিতর্ক দানা বাঁধার পরেই বিদেশ মন্ত্রকের প্রধান মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, প্যালেস্তাইনের ব্যাপারে ভারতের যে দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, তা অটুট রয়েছে। অনেকের মতে, বিদেশ মন্ত্রকের প্রধান মুখপাত্রের ওই বিবৃতি ছিল ‘ভারসাম্য’ রক্ষার। উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে মোদী যখন গাজ়ার হাসপাতালে হামলার নিন্দা করলেন, প্রায় একই সময়ে তেল আভিভে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।