হায়দরাবাদে ভারত বায়োটেক পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই
শনিবার তিন শহরের তিন সংস্থার করোনা টিকার অগ্রগতি সশরীরে পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বার দেশে টিকা প্রস্তুতকারী আরও তিনটি সংস্থার সঙ্গে সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠক সারলেন নরেন্দ্র মোদী। তিন সংস্থার বিজ্ঞানীদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসার পাশাপাশি তাদের পরামর্শও চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এই তিন সংস্থার টিকা প্রস্তুতির অগ্রগতি সম্পর্কেও খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার প্রথমে আমদাবাদে জাইডাস কাডিলা হেল্থকেয়ারের উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর তিনি যান হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের টিকা তৈরির প্রক্রিয়া দেখতে। শেষে যান পুণেতে। সেখানকার সিরাম ইনস্টিটিউটের টিকার অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। তিন সংস্থার বিজ্ঞানী আধিকারিকদের সঙ্গেও টিকা তৈরির বিষয়ে পর্যালোচনা করেন।
সোমবার অবশ্য ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পুণের জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস এবং হায়দরাবাদের দুই সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেড এবং ডক্টর রেড্ডিজ ল্যাবের আধিকারিকদের সঙ্গে এই বৈঠকে টিকার অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজখবর নেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও) জানিয়েছে, টিকা তৈরিতে যে ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিন সংস্থার বিজ্ঞানীরা, তাতে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী। অন্য দিকে তিন সংস্থার কাছে টিকা দেওয়ার পুরো ব্যবস্থাপনার বিষয়ে পরামর্শও প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন বলে পিএমও জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা বাড়ছে পেট্রল-ডিজেলের দাম, মোদী সরকারকে খোঁচা সীতারামের
কোন দেশের বা কোন সংস্থার করোনাভাইরাস টিকা আগে বাজারে আসবে, তা নিয়ে সারা বিশ্বেই চলছে অলিখিত প্রতিযোগিতা। বিজ্ঞানীরাও দিন-রাত এক করে ফেলছেন। ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে এক দিকে যেমন একাধিক বিদেশি সংস্থার চুক্তি হয়েছে, তেমনই স্বাধীন ভাবে ভারতেও টিকা তৈরির কাজ করছে বেশ কয়েকটি সংস্থা। খুব শীঘ্রই টিকা বাজারে আসবে বলে প্রায় প্রতিদিনই নানা মাধ্যমে খবর ছড়ালেও এখনও টিকার বিষয়ে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই তৎপরতা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ‘নিভার’-এর ক্ষত মেলায়নি, আবার নিম্নচাপ, পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব পড়বে কি?
প্রস্তুতিপর্বের খোঁজখবর যেমন নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, তেমনই যে কোনও টিকার অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাতে তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার চেষ্টাও চলছে সমান্তরাল ভাবে। কয়েক দিন আগেই এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। করোনাভাইরাসের টিকা এলেই যাতে তার বিলিবণ্টন, সংরক্ষণ ও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়, তার জন্য যাবতীয় পরিকাঠামো ও প্রস্তুতি সেরে রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। রাজ্য সরকারগুলিও সেই মতো ব্লক স্তর পর্যন্ত টাস্ক ফোর্স গঠন, সংরক্ষণের ব্যবস্থা কার্যত তৈরি করে রেখেছে।
অর্থাৎ সব প্রস্তুতিপর্ব সারা। এখন শুধু টিকার অনুমোদনের অপেক্ষা।