সংঘর্ষে বিধ্বস্ত সুদান। ছবি: রয়টার্স।
সুদানে এখনও পর্যন্ত শান্তি ও সুস্থিতি ফেরার ইঙ্গিত নেই। এই অবস্থায় আফ্রিকার ওই দেশটিতে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে উদ্যোগী হল ভারত সরকার। শুক্রবার এই বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সুদানে ভারতের রাষ্ট্রদূত রবীন্দ্র প্রসাদ জায়সওয়াল। কী ভাবে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, তাই নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে।
কিছু দিন আগেই সুদানের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের বলি হন কেরলের এক বাসিন্দা। সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতেই এই বিষয়ে শোকজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনাই যে অগ্রাধিকারের তালিকায় শীর্ষে রাখা উচিত, তা স্পষ্ট করে দেন তিনি। সুদানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সুদানের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখতে এবং সেখানকার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার পরামর্শ দেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সুদানের সেনাপ্রধান আবদেল ফতাহ আল-বুরহান এবং আধাসেনা প্রধান মহম্মদ হামদান ডাগলোর মধ্যে সংঘাত চলছে। শনিবার তা চরমে ওঠে। এখন পর্যন্ত সেই সংঘাতের জেরে মারা গিয়েছেন ৩০০ জন। আহত প্রায় ১০০০ জন। যদিও সুদানের চিকিৎসকেরা মনে করছেন, হতাহতের সংখ্যাটা বাস্তবে অনেক বেশি। সুদানের রাজধানী খারতুমের বাসিন্দারা সব সময়ই গোলাগুলি, বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, খারতুমের কাছে আধাসেনা ঘাঁটিতে বিমান হানা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। ওমদুরমানে আধাসেনার ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। আবার আধাসেনা পাল্টা দাবি করেছে, সেনাবাহিনীর প্রধানের বাসভবন, প্রেসিডেন্টের বাসভবন, খারতুম বিমানবন্দর, সরকারি টেলিভিশন কেন্দ্র দখল করেছে তারা। সেনাবাহিনী এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। সুদানের বায়ুসেনা নাগরিকদের ঘরে থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে। আধাসেনার অভিযোগ, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওমর হাসান আল-বশিরের পরিকল্পনা মতো সবটা চলছে। ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ওমর। ২০২১ সালে সুদানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীও।