প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই
এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ-থিমকে সামনে রেখে জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্বের দায়িত্ব হাতে তুলে নিতে চলেছে ভারত। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে এ দেশে শুরু হতে চলেছে জি-২০ সম্মেলন। যা চলবে আগামী এক বছর। আজ মন কি বাত অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘জি-২০-এর মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের প্রশ্নে এগিয়ে আসতে হবে দেশকে।’’
আজ ছিল প্রধানমন্ত্রীর ৯৫তম ‘মন কি বাত’। দেশবাসীর সঙ্গে আলাপচারিতায় আজ জি-২০ সম্মেলনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। আগামী এক বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জি-২০ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রায় ২০০টির বেশি বৈঠক হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘জি-২০ দেশগুলিতে বসবাস করে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনতা। বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ ব্যবসা হয়ে থাকে ওই দেশগুলিতে। এ ছাড়া বিশ্ব জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ আসে জি-২০ দেশগুলি থেকে।’’ তাই ওই সুযোগকে কাজে লাগাতে দেশের মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য বার্তা দিয়েছেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার পরে আগামী এক বছরের জন্য জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব পাচ্ছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী তাই ওই মঞ্চকে সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্নে ব্যবহারের জন্য আজ বার্তা দিয়ে বলেছেন, বর্তমানে বিশ্বের সামনে যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে সেগুলি সমাধানের ক্ষমতা রয়েছে ভারতের। বিশ্ব জুড়ে উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘শান্তি হোক বা ঐক্য, পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীলতা কিংবা দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে উন্নয়ন, ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান রয়েছে।’’ বিশ্বের সামনে যা তুলে ধরার উপরে জোর দিয়েছেন তিনি।
স্বাধীনতার ৭৫ বছরের মাথায় বিশ্বের কুড়িটি দেশের জোট নিয়ে গঠিত জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করা দেশের জন্য গর্বের বিষয় বলেও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ভারতে বসবাসকারী ছাড়াও বিশ্বের নানা প্রান্তে যে ভারতীয়েরা রয়েছেন তাঁরাও চিঠি লিখে আমায় জানিয়েছেন যে ভারত ওই দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁরাও কতটা গর্বিত।’’ জি-২০ সংক্রান্ত বিষয়টি ছাড়াও আজ একাধিক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমনন্ত্রী। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি বিক্রম-এস রকেটের মহাকাশে প্রেরণ। গত ১৮ নভেম্বর মহাকাশে পাঠানো বেসরকারি ভাবে তৈরি ওই রকেটে রয়েছে একাধিক নতুন বৈশিষ্ট্য। একই সঙ্গে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলা ও তাদের সাহায্য করার প্রশ্নেও যে ভারত আন্তরিক তাও নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, ‘‘গত কালই ভারত একটি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে প্রেরণ করেছে। যা ভারত ও ভুটান যৌথ ভাবে তৈরি করেছে। ওই কৃত্রিম উপগ্রহটি ভারত ও ভুটানের শক্তিশালী সম্পর্কের প্রতিফলন।’’