Narendra Modi

৭১ হাজার চাকরি দিয়ে কংগ্রেসকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

আসন্ন রাজ্যগুলিতে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই মোদী বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ভাবে কংগ্রেসের সমালোচনা করতে ছাড়েননি। সরব হয়েছেন তাঁর মুদ্রা ঋণ প্রকল্প নিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:২২
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।

রোজগার মেলায় ভিডিয়ো মাধ্যমে ৭১ হাজার জনকে সরকারি নিয়োগপত্র দেওয়ার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র ম‌োদী জানালেন, ২০১৪ সালের পর থেকেই দেশের যুবশক্তির জন্য সম্ভাবনার দরজা খুলেছে। তৈরি হয়েছে ‘নতুন ভারত’, ‘নতুন নীতি ও রণনীতি’। তাঁর কথায়, এর আগে ভারতের ছিল প্রযুক্তি পরিকাঠামোর মতো বিষয়ে ‘গা-ছাড়া মনোভাব’। ২০১৪-এর পরে সরকারে এসেছে ‘সক্রিয় মানসিকতা’। তৈরি হয়েছে উপার্জনের এমন রাস্তা, যা আগে কল্পনা করা যেত না।

Advertisement

আসন্ন রাজ্যগুলিতে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই মোদী আজ বিভিন্ন ভাবে কংগ্রেসের সমালোচনা করতে ছাড়েননি। সরব হয়েছেন তাঁর মুদ্রা ঋণ প্রকল্প নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ছোট ও ক্ষুদ্র সংস্থাগুলি এই প্রকল্পে বিপুলভাবে উপকৃত হয়েছে। এ রকম ছোট ছোট আট কোটি উদ্যোগ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মোদী। আজ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমকে কটাক্ষ করে মোদী বলেছেন, “অনেক মহারথী, বড় বড় পণ্ডিত, অর্থশাস্ত্রী ছিলেন, যাঁরা ঋণ এবং ক্ষুদ্র ঋণের তফাৎ বুঝতেন না। আজও বোঝেন না। তাঁরা সাধারণ নাগরিকদের সামর্থ্য বোঝেন না।” যদিও মোদী আজ তাঁর বক্তব্যে কোনও নেতার নাম করেননি, কিন্তু রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, তাঁর নিশানা ছিল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা পি চিদম্বরমই। চিদম্বরম সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মুদ্রা যোজনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘পঞ্চাশ হাজার টাকা ঋণে কী ধরনের ব্যবসার সূচনা সম্ভব?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের সরকার উন্নত ভারতের সংকল্প পূরণে যুবকদের মেধা ও শক্তিকে সঠিক সুযোগ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজ ভারত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল একটি অর্থনীতি। বিশ্ব ভারতকে একটি উজ্জ্বল স্থান হিসেবেই দেখছে। আজকের নতুন ভারত তার নতুন নীতি ও কৌশল নিয়ে চলছে। দেশে নতুন সম্ভাবনা ও নতুন সুযোগের দরজা খুলেছে।’’ রেল, সড়ক, বন্দর পরিকাঠামো থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা অথবা খেলনা শিল্পে দেশজ উৎপাদন বাড়ানোর যাবতীয় কৃতিত্বই আজ তাঁর সরকারকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “২০১৪ সালের আগে দেশে ২০ হাজার কিলোমিটার রেললাইনে বৈদ্যুতিকরণ করা হয়েছিল। গত ন’বছরে আমরা ৪০ হাজার রেল লাইনে বিদ্যুৎ দিয়েছি। আগে মাসে ৬০০মিটার মেট্রো লাইন পাতার কাজ হত, এখন প্রতি মাসে ৬ কিলোমিটার হয়। আগে মোবাইল সেট বিদেশ থেকে আসত। এখন আমরা মোবাইল বিদেশে রফতানি করি। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র পুরোটাই ছিল আমদানি নির্ভর। এখন ৩০০টি প্রতিরক্ষা পণ্যের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে যা ভারতেই তৈরি হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement