প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন শুরু হয়েছিল ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’। তার পর কেটে গিয়েছে কুড়ি বছর। আজ এত কাল পরে ওই সম্মেলনগুলি নিয়ে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের বিরূপ মনোভাবের সমালোচনায় সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘তখন কেন্দ্রীয় সরকারের গুজরাতে শিল্পের বিকাশ নিয়ে কোনও আগ্রহই ছিল না। উল্টে বিদেশি সংস্থা যাতে গুজরাতে বিনিয়োগ না করে, তার জন্য ভয় দেখানো হত।’’
ভূমিকম্প, খরা, তার পরেই গোধরার ঘটনা— এই আবহের মধ্যেই প্রথম ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’ সম্মেলন হয়েছিল বলে আজ স্মৃতিচারণে বলেন মোদী। তাঁর দাবি, সে সময়ে গুজরাতের ভাবমূর্তি খারাপ করার চক্রান্ত হয়েছিল। সেই চক্রান্তের পিছনে তখনকার ইউপিএ সরকারের দিকেই আজ আঙুল তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘সে সময় প্রচার চালানো হত, গুজরাত কোনও ভাবেই নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না। গুজরাতকে নতুন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তখন ভাইব্র্যান্ট গুজরাত সম্মেলনকেই হাতিয়ার করা হয়।’’ তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফের তোপ দেগে মোদীর অভিযোগ, ‘‘গুজরাতের উন্নতি নিয়ে কেন্দ্রের কোনও হেলদোল ছিল না। সে সময়ে গুজরাতের উন্নয়নকে রাজনীতির প্রিজমের তলায় রেখে বিচার করা হত। কেন্দ্রের কোনও
মন্ত্রক ওই সম্মেলনে আসত না, উল্টে বাধা সৃষ্টি করত। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যাতে গুজরাতে বিনিয়োগ না করেন, তার জন্য তাদের ভয় দেখানো হত।’’ মোদীর দাবি, তা সত্ত্বেও বিদেশি সংস্থা গুজরাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসে। মোদী বলেন, ‘‘ওই বিনিয়োগ ধরতে রাজ্য প্রশাসন বিনিয়োগকারীদের বিশেষ কোনও ছাড় দেয়নি। স্বচ্ছ প্রশাসন, নির্দিষ্ট নীতি, উন্নয়নের প্রশ্নে সকলকে সমান সুবিধা দেওয়াই রাজ্যে শিল্প বিকাশে সাহায্য করেছে।’’
গুজরাত যে ভাবে ভারতের উন্নয়নে সারথি হিসাবে কাজ করেছে, ঠিক সে ভাবেই ভারত আগামী দিনে বিশ্বের আর্থিক কর্মকাণ্ডের শক্তিকেন্দ্রে পরিণত হবে বলে আজ দাবি করেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘আমি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলতে পারি যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় আর্থিক শক্তিতে পরিণত হতে চলেছে।’’ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার পরে গুজরাতের সায়েন্স সিটির রোবটিক্স গ্যালারি ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। পরে রোবটদের সঙ্গে একাধিক ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে একটিতে দেখা গিয়েছে রোবট পরিবেশিত চা ও স্যান্ডউইচ খাচ্ছেন তিনি।