প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ডবাসী এ বার বিজেপিকে সরকারে আনতে বদ্ধপরিকর বলে দলীয় কর্মী সম্মেলনে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, জেএমএম-কংগ্রেস শাসনে লাগামছাড়া দুর্নীতিতে রাজ্যের মানুষ বিরক্ত। পরিবর্তনের জন্য মন স্থির করে ফেলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি অমিত শাহ অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গ সামনে এনে রাজ্যবাসীর আবেগ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
আগামী ১৩ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফায় নির্বাচন। আজ সরাইকেলায় একটি জনসভায় অমিত বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে নতুন আইন আনবে যাতে ঝাড়খণ্ডের জনজাতি মেয়েকে বিয়ে করলেও তাঁর নামে থাকা জমির অধিকার স্বামীর হাতে না যায়। ‘অনুপ্রবেশকারীরা’ এসে রাজ্যের জমি হাতিয়ে নিচ্ছে বলে সুর চড়ান অমিত। অন্য দিকে ‘আমার বুথ, সবচেয়ে শক্তিশালী’ অনুষ্ঠানে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরের অপশাসনে ঝাড়খণ্ডবাসী মনে করছেন তাঁদের রুটি-বেটি ও মাটি বিপন্ন। সে কারণেই রাজ্যবাসী এ যাত্রায় পরিবর্তনের পক্ষে। জেএমএম-কংগ্রেস সরকারের অধিকাংশ প্রতিশ্রুতিই বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। উল্টে সরকারের শীর্ষ কর্তারা দুর্নীতিতে ব্যস্ত থেকেছেন।’’ মোদীর দাবি, কংগ্রেসের মতো জেএমএম নেতৃত্বও পরিবারতন্ত্রের শিকার। এরাও ক্ষমতা ও অর্থ ছাড়া কিছু বোঝে না। ঝাড়খণ্ডের কাছে বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও তাই রাজ্যবাসীকে অনুন্নয়নের শিকার হতে হচ্ছে।
বিজেপি সূত্রের ব্যাখ্যা, রাজ্যে বড় অংশ পরিবর্তন চাইলেও, সেটা নির্ভর করছে মানুষ বেরিয়ে এসে ভোট দিচ্ছেন কি না, তার উপরে। বিজেপির এক নেতার কথায়, লোকসভা নির্বাচনে নিচুতলার বিজেপি কর্মীদের মধ্যে আত্মতুষ্টি দেখা গিয়েছিল। আজ তাই মোদী আলাদা করে বুথ কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন।