সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সংসদ ভবনে বক্তৃতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বুধবার, নয়াদিল্লিতে। ছবি : টুইটার থেকে।
সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধী দলের সাংসদদের একটি আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বললেন, ‘‘সম্প্রতি দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জি২০ সংক্রান্ত বৈঠকে দেখা হয়েছিল। তাঁরা প্রত্যেকেই বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। আশা করব ওই সৌহার্দ্যের উষ্ণতা সংসদের অধিবেশনেও বজায় থাকবে।’’ বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের মোদী বলেন, ‘‘বিরোধিতা তো থাকবেই, কিন্তু অধিবেশনের প্রথম দিনটিতে অন্তত চেষ্টা করুন যাতে সংসদে ঐকমত্য থাকে। কারণ পার্লামেন্টের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত করাটা কখনওই নিয়ম হয়ে দাঁড়াতে পারে না।’’ যদিও মোদীর এই আর্জির পরও সংসদের অধিবেশন শুরু হতে না হতেই অধিবেশন মুলতবি করার একাধিক প্রস্তাব জমা পড়ে।
সোমবারই দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রধানদের সঙ্গে দিল্লিতে জি২০ সংক্রান্ত বৈঠক করেছেন মোদী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসকদল তৃণমূলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হাজির ছিলেন সেই বৈঠকে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের সঙ্গে সেই সফল বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘জি২০ বৈঠকে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। তাঁদের দেখে ভাল লাগল।’’ নেতারা প্রত্যেকেই তাঁর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করেছেন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বুধবার বলেছেন, ‘‘আশা করি সেই উষ্ণতা সংসদের অধিবেশনেও দেখা যাবে।’’ মোদী বলেন, ‘‘শীতকালীন অধিবেশনকে ফলপ্রসূ করার জন্য আসুন আমরা একসঙ্গে কাজ করি। দেশকে যাতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করি।’’
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্র ১৬টি বিল আনার কথা ভাবছে বলে খবর। বুধবার শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সাংবাদিক বৈঠকে মোদী অবশ্য সে ব্যাপারে কিছু খোলসা করেননি। শুধু বলেছেন, ‘‘আমরা যে সময় এই অধিবেশন শুরু করছি, তখন ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর পূর্তির অমৃতকাল যাত্রা শুরু হয়েছে। আবার ভারত জি২০ সম্মেলনের সভাপতিত্বও করতে চলেছে। তাই ভারতের দিকে এখন গোটা পৃথিবীর নজর রয়েছে। ভারতের কাছে তাদের আশাও অনেক বেশি। এই শীতকালীন অধিবেশনে আমরা নিশ্চিত করব, ভারতকে যাতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।’’
এর পাশাপাশিই এই অধিবেশনে নতুন সাংসদদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুনদের বলার সুযোগ দেওয়া উচিত। সে দিকে যেন নজর রাখে সংশ্লিষ্ট সাংসদের রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।