ভারত এবং চিনের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত থাকবেন। ছবি: সংগৃহীত।
ঠিক তিন বছর আগে তামিলনাড়ুর মমল্লপুরমে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এক মধুর কূটনীতিতে ব্রতী হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই মাধুর্য অবশ্য এখন আর নেই।
তিন বছর পরে উজ়বেকিস্তানে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের মঞ্চে (১৫ এবং ১৬ সেপ্টেম্বর) আবার মুখোমুখি হতে চলেছেন ওই দুই রাষ্ট্রনেতা। পরিস্থিতি পাল্টেছে অনেকটাই। মাধুর্যের বদলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন যথেষ্ট তিক্ত এবং অনিশ্চিত। এসসিও-র মঞ্চে অন্য সদস্য দেশগুলির পাশাপাশি, ভারত এবং চিনের শীর্ষ নেতারা থাকবেন। তাঁদের পার্শ্ববৈঠক হওয়ার বিষয়ে এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি। তবে, কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, খুব দীর্ঘ না হলেও একান্তে কিছুক্ষণ আলাপচারিতা সেরে নিতে পারেন মোদী এবং জিনপিং।
পুর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতকে বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটাতে হয়েছে চিনা সেনার মোকাবিলা করতে। দফায় দফায় সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে বৈঠক এবং বোঝানোর পরেও পিছু হঠছে না চিনের সেনাবাহিনী পিএলএ। ভারত তাদের চিন নীতির মাত্রা বদল করে এখন সাফ জানাচ্ছে, সীমান্তে সম্পর্ক স্বাভাবিক না থাকলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঠিক রাখা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় মোদী-জিনপিংয়ের মতো শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা মুখোমুখি বসলে সংকট নিরসনের কোনও সূত্র তৈরি হতেও পারে বলে আশাবাদী কূটনৈতিক শিবির।
এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ গত কাল সুর চড়িয়ে বলেছেন, “ভারত কখনও কোনও দেশকে আক্রমণ করেনি। বিদেশি রাষ্ট্রের এক ইঞ্চিও দখল করে রাখেনি। কিন্তু কেউ যদি ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং সংহতি নষ্টের চেষ্টা করে, তা হলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তার আগের দিন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ভারত এবং চিনের মধ্যে সম্পর্কে স্বাভাবিকতা কখনই ফিরবে না যদি সীমান্ত স্বাভাবিক না হয়।