ফাইল ছবি।
নরেন্দ্র মোদীর শেষ কযেকটি ভাষণে বারবার এসেছে বাংলার মনীষীদের কথা। ভোটের মুখে নানা ভাবে বাংলাকে স্মরণ করেছেন মোদী। রাজনৈতিক কারণেই হয়ত বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে নিজের আত্মীয়তা প্রমাণ করার প্রাণপন চেষ্টা করেছেন মোদী ও বিজেপির শীর্ষ নেতারা। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনেও তাই মোদীর কথার সিংহভাগ জুড়ে রইল স্বামীজি প্রসঙ্গ। মোদী বললেন, ‘‘সময় চলে গিয়েছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু এত বছর পরেও স্বামীজির প্রভাব একইরকম রয়েছে সমাজের বুকে।’’
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের আগে বারবারই মোদী বাঙালি মনীষীদের উদ্ধৃত করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা থেকে শুরু করে উনিশ শতকের নানা মানুষের কথা উঠে এসেছে তাঁর ভাষণে। সেই পথ দিয়েই এলেন স্বামী বিবেকানন্দও।
মোদী বলেন, ‘‘স্বামী বিবেকানন্দ আধ্যাত্মিকতা, দেশ গঠন ও জনসেবার যে কথা বলেছেন, তা আজও দেশের মানুষের মনে সদা জাগ্রত থাকে। তিনি আরও একটি অসাধারণ উপহার দিয়েছেন সমাজকে। কী ভাবে একজন আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হয়, কী ভাবে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান চলতে পারে, সব কিছুর উদাহরণ তৈরি করেছেন তিনি।’’
১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি নরেন্দ্রনাথ দত্ত জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতেই জাতীয় যুব সংসদের বার্ষিক অনুষ্ঠান হয় এই দিনটিতে। গত বছর থেকেই এই অনুষ্ঠানের সূত্রপাত হয়েছে। মূলত ছাত্র, যুব সমাজের উদ্দেশ্যে মোদী বক্তৃতা করেন এই বিশেষ দিনে। সেই কারণেই মোদীর কথায় এসে পড়ে নতুন শিক্ষা নীতির কথা। তিনি বলেন, এই শিক্ষানীতি দেশ গঠনের কাজে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার লক্ষণ। মোদীর মন্তব্য, ‘‘সমান গুরুত্ব দিয়ে নতুন সিলেবাসে বিষয়বস্তু নির্বাচন করা হয়েছে। এতে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম উপকৃত হবে। আমরা চাই এমন এক দেশ তৈরি করতে যেখানে সাধারণ যুবকদের পড়াশোনার জন্য আর বাইরের দেশে যেতে হবে না।
জাতীয় যুব সংসদের কথা প্রথম মোদীই বলেন ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ সালে তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে। ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রয়ারি প্রথমবার এই অনুষ্ঠান হয়। গতবছর, ২০২০ সালে ভার্চুয়ালি এই অনু্ষ্ঠান শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২.৩৪ লক্ষ প্রতিযোগী এতে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের দুমকায় পর পর পাখির মৃত্যু, আতঙ্ক বার্ড ফ্লু-র
আরও পড়ুন: ৩টি কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ, রফার খোঁজে কমিটি সুপ্রিম কোর্টের