প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘অ্যাকাডেমির ডিরেক্টরকে আমার অনুরোধ, কৃত্রিম মেধা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) সংক্রান্ত একটি পরীক্ষাগার খোলা হোক। সেখানে আমলারা বিষয়টি শিখতে পারবেন। ভবিষ্যতের একটি বড় শক্তি হতে চলেছে তথ্য। বস্তুত, তা ইতিমধ্যে হয়েও গিয়েছে।
ভাবী আমলাদের উদ্দেশে ভার্চুয়াল বক্তৃতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ছবি: পিটিআই।
দেশের আমলাদের কৃত্রিম মেধা এবং তথ্য-ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জ্ঞান থাকা জরুরি বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ মুসৌরির লালবাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অভিন্ন মূল পাঠ্যক্রমের সমাপ্তিসূচক অনুষ্ঠানে ভাবী আমলাদের উদ্দেশে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি এই কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘অ্যাকাডেমির ডিরেক্টরকে আমার অনুরোধ, কৃত্রিম মেধা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) সংক্রান্ত একটি পরীক্ষাগার খোলা হোক। সেখানে আমলারা বিষয়টি শিখতে পারবেন। ভবিষ্যতের একটি বড় শক্তি হতে চলেছে তথ্য। বস্তুত, তা ইতিমধ্যে হয়েও গিয়েছে। তাই আমাদের তথ্য-ব্যবস্থাপনা (ডেটা গভর্ন্যান্স) সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় জানতে হবে এবং দরকার মতো তার প্রয়োগ করতে হবে।’’ মোদীর মতে, শিক্ষানবিশ আমলাদের বর্তমান ব্যাচটি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’, কারণ স্বাধীনতার ৭৫তম বছরের ‘অমৃত মহোৎসব’-এর আবহে তাঁরা কাজে যোগ দিচ্ছেন। তাঁদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘‘স্বাধীনতার শতবর্ষে আমরা অনেকেই হয়তো থাকব না। কিন্তু আপনারা থাকবেন। আগামী ২৫ বছরে দেশের উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা থাকবে।’’
কেন তাঁরা সিভিল সার্ভিসে যোগ দিচ্ছেন, কী তাঁদের লক্ষ্য— এই বিষয় নিয়ে নতুন ব্যাচের আমলাদের দীর্ঘ একটি প্রবন্ধ লিখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, লেখার পরে তা ‘ক্লাউড’-এ তুলে রাখতে এবং ২৫ বছর পরে মিলিয়ে দেখতে যে, তখনও তাঁরা নিজেদের স্বপ্নের পথেই হাঁটছেন কি না। প্রধানমন্ত্রীর মতে, সেবার সত্তাকে যদি শাসনের সত্তা অধিকার করে বসে, তা হলে গোটা ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট মানুষটিরও তাতে ক্ষতি হয়। ভাবী আমলারা যেন সর্বক্ষণ নিজেদের চ্যালেঞ্জের মুখে রাখেন এবং মনে রাখেন, তাঁদের ফাইলের এক-একটি নম্বর হল স্বপ্নে ভরা এক-একটি জীবন। কাজেই প্রতিটি জীবনের জন্য তাঁদের কাজ করতে হবে।