পরিদর্শন: হজরতগঞ্জ থানার হাল দেখতে হঠাৎ হাজির যোগী আদিত্যনাথ। বৃহস্পতিবার লখনউয়ে। ছবি: পিটিআই।
যোগী ঘুরলেন থানায়, মোদী শাসালেন সাংসদদের।
আজ হঠাৎই লখনউয়ের হজরতগঞ্জ থানার হাল সরেজমিনে দেখে এলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মানুষের অভিযোগ দ্রুত খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন। আর আজই দিল্লিতে ওই রাজ্যের বিজেপি সাংসদদের ডেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুঁশিয়ারি দিলেন, পুলিশের উপরে কোনও চাপ দেওয়া চলবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভুল করলে সংশ্লিষ্ট অফিসারই ভুগবেন। সাংসদেরা যেন অযথা পুলিশকে চাপ না দেন।’’ তাঁর বার্তা স্পষ্ট— যোগীকে যেন নিজের রাজ্যে কাজ করতে দেওয়া হয়। কেউ যেন তাঁর কাছে কোনও সুবিধে না চান। পছন্দসই অফিসারের পোস্টিং কিংবা প্রতিহিংসাবশত কারও অপসারণ চেয়ে সুপারিশের অভিযোগ শোনা গেলে তা বরদাস্ত করা হবে না।
আরও পড়ুন: যোগ-দিবসে আদিত্যনাথ যোগীর রাজ্যে মোদীর যোগ
এই সুযোগে মোদী সাংসদদের বুঝিয়ে দেন যে, ভাল কাজ করতে না পারলে পরের বার আর টিকিট মিলবে না। বিজেপির দাবি, সাংসদদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকের প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়েছিল। আজ মোদী উত্তরপ্রদেশের দলীয় সাংসদদের ডেকেছিলেন, ভবিষ্যতে অন্য রাজ্যের সাংসদেরাও ডাক পাবেন। তবে দলের আর এক সাংসদের মতে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে সাংসদদের আচরণ যাতে মোদী-যোগীর ভাবমূর্তিতে কোনও আঁচ না ফেলে, সে ব্যাপারে তাঁদের সতর্ক করতেই এই বৈঠক ডাকা। প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর এই জুটির আগামী দু’বছরের কাজের উপরেই লোকসভা ভোটের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। মোদী তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চান না।
মোদী, অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, মুরলীমনোহর জোশীদের উপস্থিতিতে এই বৈঠকে সাক্ষী মহারাজের মতো বিতর্কিত সাংসদ, মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে থাকা মনোজ সিন্হা যেমন ছিলেন, তেমনই
পিছনের সারিতে বসে ছিলেন ‘উপেক্ষিত’ বরুণ গাঁধী। তাঁর মা মেনকা অবশ্য ছিলেন প্রথম সারিতে। বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর দফতর নিরন্তর যোগাযোগ রাখছে যোগী সরকারের সঙ্গে। আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে কঠোর হওয়ার মন্ত্র রোজই দেওয়া হচ্ছে যোগীর কানে। আর সেই মন্ত্রেরই জোরে কখনও রাজপথে রোমিও-দমনের নির্দেশ জারি করে, কখনও আচমকা থানায় হাজির হয়ে যোগীও রোজ দাওয়াই দিচ্ছেন পুলিশকে।