নরেন্দ্র মোদী ও ডেরেক ও ব্রায়েন ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের পাপড়ি চাট মন্তব্য ঘিরে বিরোধীদের কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূল সাংসদ মন্তব্য সংসদ ও দেশবাসীকে অপমান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মোদী। এই ভাবে সংসদের অপমান মেনে নেওয়া হবে না বলেও বিরোধীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন মোদী।
মঙ্গলবার বিজেপি সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে ডেরেকের প্রসঙ্গ তুলে আনেন মোদী। তিনি জানান, সংসদে বিল পাশ নিয়ে ডেরেকের মতো একজন বর্ষীয়ান সাংসদ যে মন্তব্য করেছেন তা নিম্নমানের। এই মন্তব্য করে তিনি সংসদ, সংবিধান, গণতন্ত্র ও দেশবাসীকেই অপমানিত করেছেন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ও রাজ্যসভার ডেপুটি স্পিকার মুক্তার আব্বাস নকভিও ডেরেকের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। জোশী বলেন, ‘‘আমরা সব বিল নিয়ে আলোচনা করতে তৈরি। আমাদের কোনও তাড়া নেই। তৃণমূলের এক সাংসদ সংসদকে অপমান করেছেন। তাঁর উচিত দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’’
বৈঠকে তৃণমূলের আর এক রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের প্রসঙ্গও তুলে আনেন মোদী। রাজ্যসভায় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাত থেকে পেগাসাস বিষয়ে বিবৃতি ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন শান্তনু। এই বিষয়ে মোদী বলেন, ‘‘সংসদের দুই কক্ষেই বিরোধীরা যা করছেন তাতে সংসদকে অপমান করা হচ্ছে। যিনি কাগজ ছিনিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন তিনি নিজের কাজের জন্য অনুশোচনাও প্রকাশ করেননি।’’
সোমবার টুইট করে ডেরেক প্রশ্ন করেন, ‘দেশের সংসদে আইন পাশ হচ্ছে, না পাপড়ি চাট বানানো হচ্ছে!’ গত ১৯ জুলাই থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। ডেরেকের দাবি, অধিবেশন শুরুর প্রথম ১০ দিনেই ১২টি বিল পাশ করিয়ে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। ডেরেকের অভিযোগ, প্রত্যেক বিল পিছু গড়ে ৭ মিনিট সময় খরচ করেছেন তাঁরা। বাদল অধিবেশনে সংসদে পাশ হওয়া আইনের একটি তালিকাও তুলে ধরেছেন ডেরেক। তাতে দেখা গিয়েছে, মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে নারকেল চাষ সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্র। সর্বোচ্চ ১৪ মিনিট সময় খরচ হয়েছে বিমানবন্দর অর্থ নিয়ন্ত্রণ বিলের পিছনে। এই মন্তব্যেরই জবাব দিলেন মোদী।