(বাঁ দিকে) বিল গেটস। নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
দিনকাল যা আসছে, শিশুরা ‘আই’ (মরাঠি ভাষায় মা)-এর পাশাপাশি এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স)-ও বলবে। মাইক্রোসফ্টের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সঙ্গে আলোচনায় এই কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এআই, মহিলাদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছেন দু’জন। প্রধানমন্ত্রী এ-ও জানিয়েছেন, জি২০ সম্মেলনে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমেই তাঁর ভাষণ ২০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
আজকের দুনিয়ায় এআই কতটা জরুরি, সেই নিয়ে গেটসের সঙ্গে কথা বলেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘এআই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মাঝেমধ্যে ঠাট্টা করেই বলি যে, আমাদের দেশে আমরা মাকে আই বলি। আমি বলছি, এখন শিশুরা জন্মালে আইয়ের পাশাপাশি এআই-ও বলবে। কারণ শিশুরা এখন অনেক আধুনিক।’’ গেটসকে তাঁর নমো অ্যাপের মাধ্যমে ছবি তুলতে বলেন মোদী। তার পর দেখিয়ে দেন, কী ভাবে ওই অ্যাপ কারও মুখের ছবি দেখে ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারে। ভারতের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন গেটস।
তবে এর পর এআই প্রযুক্তির খারাপ দিকগুলিও তুলে ধরেছেন মোদী। তিনি জানিয়েছেন, এইআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিপফেক কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে। এ সব আটকানোর জন্য কিছু বিধি থাকা দরকার। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ ডিপফেক ব্যবহার করতে পারেন। এই ডিপফেক কনটেন্ট অনেক সময়ই এআই ব্যবহার করে তৈরি হয়, এটা স্বীকার করতেই হবে। আমাদের কিছু কর্তব্যবিধি স্থির করা উচিত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এআইকে জাদুযন্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হলে অবিচার হতে পারে। কুঁড়েমির জন্য যদি এর উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি করি, তা হলে বিপদ।’’
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর মতে প্রযুক্তির সুফল সকলেরই প্রাপ্য। গ্রামে কী কী প্রযুক্তি তিনি চালু করেছেন, তা-ও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের অন্য দেশে যখন প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে বৈষম্যের কথা শুনি, তখন ভাবি, আমার দেশে এ সব হতে দেব না। সকলের জন্য ডিজিটাল পরিকাঠামো প্রয়োজন।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, এ দেশে মহিলারা প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক এগিয়ে।