উনিশের ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে বিরোধী দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে রাহুল গাঁধীর দল। বিরোধীদের কৌশল আঁচ করে প্রধানমন্ত্রীও আজ এনডিএ শরিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বন্ধঘর বৈঠকে মোদী বলেন, ‘‘সবাই মিলে বিরোধীদের ‘মুখোশ’ খুলতে হবে। চার বছরে সরকার অনেক কাজ করেছে। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করে কাদা ছুড়ছে।’’ বৈঠকে লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজকেও রাখা হয়েছিল। তবে এনডিএ শরিক শিবসেনা গণপিটুনি থেকে কাশ্মীর, সব কিছু নিয়েই মোদীর অস্বস্তি বা়়ড়াতে চাইছে।
এ দিন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেও গণপিটুনি, মহিলা-দলিত নিগ্রহ, বিদেশনীতি, মূল্যবৃদ্ধি এবং জম্মু-কাশ্মীরের অশান্ত পরিস্থিতির কথা টেনে এনে মোদী সরকারের ব্যর্থতার সুদীর্ঘ ফিরিস্তি দেন। তার পরেই ঘোষণা করেন, তৃণমূল, বাম-সহ যে ১২-১৩ টি দল গত কাল বৈঠক করেছে, সকলে মিলে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। বিরোধী সাংসদরা স্পিকার সুমিত্রা মহাজনকে চিঠি লিখে জানান, তাঁরা সংসদ চালাতে আগ্রহী। কিন্তু গত অধিবেশনের মতো এ বারেও যেন সরকার সংসদ অচল করে বিরোধীদের ঘাড়ে দায় না চাপায়।
২১ জুলাইয়ের সমাবেশের কারণে তৃণমূলের সংসদীয় দলই কলকাতায়। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে তাদের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত হবে। তেলুগু দেশম আজ স্পিকারের কাছে অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস দিয়েছে। খড়্গে জানান, তাদের প্রস্তাব যা-ই হোক, কংগ্রেস অন্য বিরোধী দলকে নিয়েই অনাস্থা আনবে। আজ তৎপরতা চলে পটনাতেও। সেখানে রাবড়ী দেবীর সরকারি বাসভবনে তেলুগু দেশমের তিন সাংসদের সঙ্গে দেখা করেন লালুপ্রসাদ। তিনি জানান, আরজেডি ওই প্রস্তাব সমর্থন করবে। দিল্লিতে সরকারের ডাকা সর্বদলেও প্রধানমন্ত্রীর সামনেই একের পর এক বিরোধী দলের নেতারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আপ নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, দিল্লি সরকারকে কাজ করতে দিচ্ছে না কেন্দ্র। সব মিলিয়ে বাদল অধিবেশন যে ভন্ডুল হতে চলেছে, সে আশঙ্কা সিংহভাগ সাংসদের। বিরোধীদের আশঙ্কা, এ বারও তেলুগু দেশম, চন্দ্রশেখর রাও আর জগন্মোহন রেড্ডির দলকে দিয়ে হট্টগোল করিয়ে সংসদ এড়াতে চাইবেন মোদী।