এ ভাবেই ক্র্যাশ ল্যান্ডিং করে মজিদের বিমান। ছবি: সংগৃহীত।
অতিমারি পরিস্থিতিতে সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোভিড যোদ্ধা হিসেবে কাজ করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মজিদ আখতার নামে সেই সেই বিমানচালককে ৮৫ কোটি টাকা জরিমানা করল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার! সরকারের অভিযোগ, মজিদ এবং তাঁর সহকারী শিব জায়সবালের গাফিলতিতে গত বছর গ্বালিয়র বিমানবন্দরে একটি বিমানের ক্ষতি হয়েছে।
সূত্রের খবর, পণ্যবাহী ওই সরকারি বিমানে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার ওষুধ ও সরঞ্জামের পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার নমুনা ছিল। গত গ্বালিয়র বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটি রানওয়েতে রাখা একটি ব্যারিকেডে ধাক্কা মারে। মজিদের অভিযোগ, রানওয়েতে রাখা ওই ব্যারিকেড সম্পর্কে অবতরণের আগে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের তরফে কোনও সতর্কবার্তা পাঠানো হয়নি পাইলট এবং কো-পাইলটকে।
ঘটনার তদন্তের পর গত সপ্তাহে একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, বিমানটির মূল্য ৬০ কোটি টাকা। তা ছাড়া দুর্ঘটনার ফলে সেটি স্থায়ী ভাবে অচল হয়ে পড়ায় কোভিড পরিস্থিতিতে কাজ চালাতে বেসরকারি বিমান ভাড়া করতে হয় মধ্যপ্রদেশ সরকারকে। তার জন্য খরচ হয় আরও ২৫ কোটি টাকা। তাই মজিদের থেকে ৮৫ কোটি টাকা জরিমানা চেয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। যদিও ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, প্রয়োজনীয় মেরামতি করলে বিমানটি ফের উড়ানের যোগ্য হয়ে উঠত। কিন্তু সে চেষ্টা করা হয়নি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই বিমানের বিমার মেয়াদ ফুরনোর পরেও সেটি উড়ানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সে বিষকে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি মধ্যপ্রদেশ সরকার। মজিদের দাবি, গ্বালিয়র বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের তরফে যে তাঁকে অবতরণের আগে রানওয়েতে রাখা ব্যারিকেড সম্পর্কে অবহিত করা হয়নি, বিমানের ব্ল্যাক বক্স পরীক্ষা করলেই তা স্পষ্ট হবে। তিনি তদন্তকারীরা দলের সামনেও সে কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কান না দিয়ে, একতরফা সিদ্ধান্তে জরিমানা করা হয়েছে।