এটিএম জালিয়াতির শিকার অর্থমন্ত্রী!

আজ লোকসভায় অর্থমন্ত্রী নিজেই সে কথা স্বীকার করেছেন। তবে নিজের উদাহরণ দিয়ে পীযূষের আশ্বাস-বাণী, ‘‘আমি সব পাইপয়সা ফেরত পেয়েছি।’’ তাঁর দাবি, এটিএম জালিয়াতি আটকাতে সরকার সক্রিয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৫৭
Share:

পীযূষ গয়াল।—ফাইল চিত্র।

তিনি দেশের অর্থমন্ত্রী। কর্পোরেট, রেল থেকে কয়লা মন্ত্রকের দায়িত্বও তাঁর হাতে।

Advertisement

এ হেন পীযূষ গয়ালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও রক্ষা পায়নি। তাঁর ডেবিট কার্ড থেকেও টাকা চুরি হয়ে গিয়েছিল। আজ লোকসভায় অর্থমন্ত্রী নিজেই সে কথা স্বীকার করেছেন। তবে নিজের উদাহরণ দিয়ে পীযূষের আশ্বাস-বাণী, ‘‘আমি সব পাইপয়সা ফেরত পেয়েছি।’’ তাঁর দাবি, এটিএম জালিয়াতি আটকাতে সরকার সক্রিয়।

ডেবিট কার্ডের তথ্য চুরি করে গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লুঠ হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এটিএম থেকে ‘স্কিমিং’ করেই ডেবিট কার্ডের তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের একের পর এক ঘটনায় এই মুহূর্তে কলকাতা জুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অর্থমন্ত্রী নিজেই এমন জালিয়াতির শিকার জানার পরে প্রশ্ন উঠেছে, তিনি রাজনীতিক, মন্ত্রী। তিনি সব টাকা ফেরত পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আমজনতার কী হবে?

Advertisement

আজ লোকসভায় এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওড়িশার সাংসদ ভর্ত্রুহরি মেহতাব। তিনি বলেন, ‘‘এইচডিএফসি, আইসিআইসিআই, ইয়েস, অ্যাক্সিস, স্টেট ব্যাঙ্কের মতো বিভিন্ন ভারতীয় ব্যাঙ্কের তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। বহু মানুষ ডেবিট কার্ড থেকে বেআইনি লেনদেনের শিকার হয়েছেন। চিন, আমেরিকা থেকে এই সব জালিয়াতি করা হচ্ছে। সরকার তথ্য চুরি রুখতে কী করছে?’’

জবাবে পীযূষ যুক্তি দেন, গোটা পৃথিবীতেই হ্যাকিং হয়। শুধু ভারতে তা আটকে নেই। সরকার যত শক্তপোক্ত সুরক্ষাকবচ তৈরি করছে, হ্যাকাররা তা ভাঙতে নতুন নতুন পন্থা বের করছে। কিন্তু তা এমন পর্যায়ে পৌঁছয়নি, যাতে অর্থনীতিতেই সমস্যা হয়। কারণ এমন হলে তা ধরাও পড়ে যায়। উদাহরণ দিতে গিয়ে পীযূষ বলেন, ‘‘আমার নিজেরই আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ডে কিছু লেনদেন হয়েছিল। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ককে জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি টাকা ফেরত পেয়ে যাই। এক পয়সারও লোকসান হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement