গোলাপি শহরের মুকুটে নতুন পালক। ছবি: টুইটার
গোলাপি শহরের মুকুটে নতুন পালক। ইউনেস্কোর তরফে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেল জয়পুর। এই ঘোষণা করা হল ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সোসাইটির ৪৩তম অধিবেশনে। আজেরবাইজানের রাজধানী বাকুতে এই অধিবেশন শুরু হয়েছে গত ৩০ জুন। চলবে ১০ জুলাই অবধি। সেখানেই মনোনয়ন খতিয়ে দেখে গোলাপি শহরকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়। গোলাপি শহরের নতুন সম্মানলাভে প্রধানমন্ত্রী টুইট করে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
টুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘জয়পুর সংস্কৃতি আর বীরত্বের শহর। জয়পুরবাসীর আতিথেয়তায় সারা পৃথিবীর পর্যটক এখানে জড়ো হন। এই শহর ইউনেস্কোর তরফে হেরিটেজ পরিচয় পাওয়ায় আমি আনন্দিত।’
জয়পুরের গোড়াপত্তন ১৭২৭ খ্রিষ্টাব্দে, রাজা দ্বিতীয় সোয়াই জয় সিংহ-র শাসনকালে। তাঁর নামেই শহরের নামকরণ। আধুনিক ভারতের প্রথমদিকের পরিকল্পিত শহরের মধ্যে অন্যতম জয়পুর। শহরের নক্সা করেছিলেন বিখ্যাত বাঙালি স্থপতি বিদ্যাধর ভট্টাচার্য। পরবর্তীকালে রাজা সোয়াই প্রথম রাম সিংহ-এর জয়পুর গোলাপি সাজে সেজে উঠেছিল প্রিন্স অব ওয়েলসকে স্বাগত জানাতে। সেই থেকে শহরের নতুন পরিচয়, পিঙ্ক সিটি বা গোলাপি নগরী। পরবর্তীকালে প্রিন্স অব ওয়েলসই হন ভারতের অধীশ্বর, সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ড। আর স্বাধীন ভারতে রাজস্থানের রাজধানী বলে পরিচতি পায় জয়পুর।
আরও পড়ুন: সন্তানদের বিদেশে পাঠানোর টাকার উত্স কী, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের উপর নজরদারি কেন্দ্রের
আরও পড়ুন:নিজের মুসলিম নাম বদলে ফেলতে চান মধ্যপ্রদেশের এই আমলা, কারণটাও জানিয়েছেন
কেন এই রাজপুত জনপদকে বেছে নেওয়া হল? তা-ও জানিয়েছে ইউনেস্কো। নগর পরিকল্পনার ধারা ক্রমশ পরিবর্তিত হয়েছে হিন্দু, মুঘল থেকে পশ্চিমী ঘরানায়। ফলে তিনরকম শৈলীই দেখা গিয়েছে এর নির্মাণে। মধ্যযুগের অন্যতম বাণিজ্যনগরী ছিল এই শহর। আন্তর্জাতিক মহলে শহরের হস্তশিল্পের কদর তুঙ্গে। সব মিলিয়ে হেরিটেজ পরিচয় পেতে সমস্যা হয়নি বীরত্বের প্রতীক এই শহরের। এখনও অবধি বিশ্বের ১৬৭ দেশের ১০৯২ সৌধ ইউনেস্কোর তরফে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ পরিচয় পেয়েছে।