National News

পাইলট অমল তৈরি করছেন দেশের প্রথম বিমান কারখানা

এই হাব-এর জন্য বিনিযোগকারীদের আকৃষ্ট করতে অমলকে সাহায্য করবে মহারাষ্ট্র সরকার। তবে শুধুমাত্র বিমান তৈরিই নয়, অমলের পাখির চোখ কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৪:২২
Share:

ডানা মেলবে অমল যাদবের স্বপ্ন। ছবি: অমলের ফেসবুক পেজের সৌজন্য।

এত দিন বিমান উড়িয়েছেন। এ বার তা গড়ার কাজ করবেন। মহারাষ্ট্রে দেশের প্রথম অসামরিক বিমান তৈরির কারখানায় ডানা মেলবে অমল যাদবের স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে বাস্তব চেহারা দিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ৩৫ হাজার কোটি টাকার মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

Advertisement

সোমবার মুম্বইয়ের বান্দ্রায় আয়োজিত ‘ম্যাগনেটিক মহারাষ্ট্র সামিট’-এ অমলের সঙ্গে রাজ্য সরকারের ওই চুক্তিতে সই করেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। অমল জানিয়েছেন, পালঘর জেলায় ১৫৭ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠবে বিমান তৈরির হাব। সেখানেই ৬ এবং ১৯ আসনের বিমান তৈরি করবে তাঁর সংস্থা থার্স্ট এয়ারক্রাফ্ট প্রাইভেট লিমিটেড। ওই হাবে যোগ দেবে বিমান তৈরির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা। অমলের স্বপ্নপূরণ হলে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ১০ হাজার মানুষের।

বিমান তৈরি করার স্বপ্নটা অনেক আগে থেকেই ছিল ৪২ বছরের অমলের। পেশায় জেট এয়ারওয়েজের সিনিয়র কম্যান্ডার। তবে স্বপ্ন ছিল, বিমান গড়ার। আমেরিকার বহু বিমানপ্রেমীকে দেখেছেন, যাঁরা পুরনো বিমান কিনে তা গড়েপিঠে নতুনের মতো করে নিয়েছেন। ২০১১ থেকে খানিকটা সে ভাবেই তাঁর স্বপ্নকে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল। মুম্বইয়ের চারকপ বিল্ডিংয়ে নিজের ১ হাজার ৬০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের ছাদেই প্রথম বিমান গড়ার যন্ত্রাংশ নিয়ে কাজ শুরু করেন অমল। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাননি তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন
টাকা শোধ আর হবে না! হুমকি নীরবের

মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার বাসিন্দা অমল জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস চেয়েছিলেন মহারাষ্ট্রেই দেশের প্রথম বিমান তৈরির কারখানা গড়ে উঠুক। ২০১৬-তে মেক ইন ইন্ডিয়া প্রদর্শনীতে তাঁর তৈরি ৬ আসনের বিমান সাড়া ফেলে দিয়েছিল। কারখানা গড়ার কাজে অমলকে সাহায্য করার জন্য গত বছর প্রতিশ্রুতি দেন ফডণবীস।

এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন

অমলের স্বপ্নপূরণ হলে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ১০ হাজার মানুষের। ছবি: অমলের ফেসবুক পেজের সৌজন্য।

অমলের এই উদ্যোগে জমি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার জোগান দেবে মহারাষ্ট্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (এমআইডিসি)। অমল বলেন, “আমাকে বিমান তৈরি করতে হবে। তা করার ক্ষমতা যে আমার রয়েছে তা-ও করে দেখিয়েছি আমি।” এই হাব-এর জন্য বিনিযোগকারীদের আকৃষ্ট করতে অমলকে সাহায্য করবে মহারাষ্ট্র সরকার। তবে শুধুমাত্র বিমান তৈরিই নয়, অমলের পাখির চোখ কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করা। তিনি বলেন, “প্রথম পর্যায়ে ১৯ আসনের একটি প্রোটোটাইপ গড়ব আমরা। এর পর ওই ধরনের আরও তিনটি বিমান গড়া হবে। তার জন্য আগামী ছ’মাসে ২০০ কোটি টাকার পুঁজি দরকার।”

আরও পড়ুন
লজ্জায় আমার ডাক্তারি ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করছে

ইতিমধ্যেই বিমান হাবের জন্য লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করে ফেলেছেন অমল। তিনি বলেন, “আগামী দু’তিন বছরে ৬০০টি ১৯ আসনের বিমান গড়তে চাই। ধীরে ধীরে ১ হাজার ৩০০টি বিমান তৈরি টার্গেট রয়েছে।” আপাতত তাঁর সংস্থার তৈরি বিমানের ইঞ্জিনের জোগান দেবে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি নামের বিশ্বপরিচিত মার্কিন সংস্থা।

তবে যাত্রা শুরুর আগেই সাড়া ফেলেছেন অমল। গত শুক্রবার এক সৌজন্য সাক্ষাতে সপরিবার অমলকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement