এই পায়রাটিকেই ট্রলার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
পায়ে ক্যামেরা, মাইক্রোচিপ বাঁধা। এমনই একটি পায়রা ধরা পড়ার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে ওড়িশার জগৎসিংহপুর জেলায়। পায়রাটি ধরা পড়ার পরই জল্পনা শুরু হয়েছে ‘চরবৃত্তির’ জন্যই নাকি পাঠানো হয়েছে পায়রাটি। আপাতত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে ‘গুপ্তচর’ পায়রা।
পুলিশ সূত্রে খবর, পারাদ্বীপ উপকূলে বেশ কিছু দিন ধরেই একটি ট্রলারে পায়রাটিকে বসে থাকতে দেখেন মৎস্যজীবীরা। বুধবার তাঁরা মেরিন পুলিশকে খবর দেন। তাদের হাতে পায়রাটিকে তুলে দেওয়া হয়। জগৎসিংহপুরের পুলিশ সুপার রাহুল পিআর সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “আমাদের পশুচিকিৎসকরা পায়রাটিকে পরীক্ষা করে দেখবেন। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদেরও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পায়রার পায়ে একটি ক্যামেরা এবং চিপ আটকানো রয়েছে।” সেই ক্যামেরা এবং চিপও পরীক্ষা করে দেখা হবে আদৌ চরবৃত্তির কাজে পায়রাটিকে ব্যবহার করা হচ্ছিল কি না।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, পায়রাটির পাখনাতেও একটি অপরিচিত ভাষায় কিছু লেখা রয়েছে। এ বিষয়ে ভাষাবিদদেরও সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। ‘সারথী’ নামে একটি ট্রলারে পায়রাটিকে দেখেন ওই ট্রলারেরই কর্মী পীতম্বর বেহরা। তাঁর কথায়, “প্রথমে ভেবেছিলাম সাধারণ একটি পায়রা। কিন্তু পাখিটির পায়ের দিকে নজর যেতেই চমকে উঠি। দেখি পায়রাটির পায়ে কিছু যন্ত্র বাঁধা রয়েছে। পাখনায় কিছু একটা লেখা রয়েছে। যে হেতু ওই লেখাটি ওড়িয়া ভাষায় ছিল না, তাই কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। পায়রাটি কাছে আসতেই ধরে ফেলি সেটিকে।”