হাসরসের পদপিষ্টের ঘটনা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এ বার সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল। ইলাহাবাদ হাই কোর্টে সেই মর্মে মামলাও দায়ের হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার হাথরসে একটি সৎসঙ্গের আয়োজন হয়েছিল। নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলে বাবা নামে এক ধর্মগুরুর ডাকে সেই সৎসঙ্গে ভিড় করেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান শেষ হয়। তবে অনুষ্ঠান শেষে বিপদ ঘটে। অনুষ্ঠানস্থল ছাড়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় মানুষের মধ্যে। সেখানেই বিপত্তি ঘটে। ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কির কারণে একে অপরের উপর পড়ে যান।
কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল? প্রত্যক্ষদর্শীরা বিভিন্ন কারণ ব্যাখ্যা করছেন। কেউ বলছেন, সৎসঙ্গের জন্য যে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল, তা ঘেরা ছিল। পাখার ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে সকলেই হাঁসফাঁস করছিলেন। সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরেই মানুষ হুড়মুড়িয়ে মাঠের বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। সেই থেকে বিপত্তি। আবার কারও কথায়, প্যান্ডলের আসা-যাওয়ার জন্য যে গেট তৈরি হয়েছিল, সেটিও অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ হওয়ার কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কোনও কোনও প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করছেন, অনুষ্ঠানস্থলের সামনে বড় ড্রেন ছিল। তার উপর থাকা কাঠের পাটাতন ভিড়ের চাপে ভেঙে বিপদ ঘটে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশের পুলিশের একটি বিশেষ দল তদন্তভার হাতে নিয়েছে। বুধবার সকালেই ঘটনাস্থলে যায় তারা। এই ঘটনায় সৎসঙ্গের আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, সেই এফআইআরে নাম নেই ভোলে বাবার। পুলিশি তদন্তের মধ্যেই সিবিআই চেয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন গৌরব দ্বিবেদী নামে এক আইনজীবী।