আবার বিতর্কে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে ফের অভিযোগ দায়ের হল আদালতে। এ বার দিল্লি হাইকোর্টে। অভিযোগকারী আহমেদ খান এর আগে নিম্ন আদালতেও মামলা করেছিলেন এ নিয়ে। ২০১৬-র অক্টোবরে সেই মামলা খারিজ হয়ে যায়। উচ্চ আদালতে আহমেদের অভিযোগ নিয়ে শুনানি হবে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর।
নিম্ন আদালতে আহমেদের অভিযোগ ছিল, স্মৃতি ২০০৪-এ লোকসভা ভোটে লড়ার সময় কমিশনকে জানিয়েছিলেন, তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলা শাখায় স্নাতক হয়েছেন ১৯৯৬ সালে। পরে ২০১১ ও ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের সময় কমিশনকে দেওয়া হলফনামায় তিনি জানান, তাঁর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম পার্ট-ওয়ান। অর্থাৎ কমিশনকে তিনি ভুল তথ্য দিয়েছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নির্বাচন কমিশন ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সে সময় আদালতকে জানায়, এত পুরনো তথ্য তারা খুঁজে পাচ্ছে না। আর নিম্ন আদালত, মামলা খারিজ করে এই যুক্তিতে যে, এত বছর পরে মূল নথি পাওয়া দুষ্কর। অন্য প্রমাণও গ্রহণযোগ্য নয়। স্মৃতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী না হলে এই মামলাই হতো না। আসলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে (তখন স্মৃতি শিক্ষামন্ত্রী) হয়রান করার উদ্দেশ্যেই ওই মামলা করা হয়েছে। আপাতত স্মৃতি বা কোনও পক্ষকেই তলব করছে না উচ্চ আদালত। নিম্ন আদালতে খারিজ হওয়া মামলাটির যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে খতিয়ে দখার জন্য।