ইন্দ্রাণী ও পিটার এক সময়। ছবি সৌজন্যে ফেসবুক
শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত পিটার মুখোপাধ্যায় বিবাহবিচ্ছেদে রাজি। ১৬ বছরের বিবাহিত জীবনে ইতি টেনে মিডিয়া ব্যারন স্বামী পিটারকে ডিভোর্সের নোটিস পাঠান ইন্দ্রাণী, যিনি নিজেও শিনা হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। গত ২৫ এপ্রিল নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে পিটারকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী। এই নোটিসে সহমত হয়েছেন পিটারও। পারস্পরিক সহমতেই বিচ্ছেদ হতে চলেছে তাঁদের। খুব তাড়াতাড়ি বান্দ্রা আদালতে আইনিপ্রক্রিয়া শুরু হবে।
২০১৫ সালে মেয়ে শিনা বোরাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন ইন্দ্রাণী। গ্রেফতার হন পিটার মুখোপাধ্যায়ও। ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন গাড়িচালক শ্যাম রাই ও প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খন্নাও গ্রেফতার হন। বর্তমানে মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলের মহিলা সেলে রয়েছেন ইন্দ্রাণী। হাজতবাস করছেন পিটারও।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রথম দর্শনেই একে অপরের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী-পিটার। তারপর দুজনের বিয়ে। একসঙ্গে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠা, পেশাদার জগতের ব্যর্থতাও দুজনে মিলেই সামলেছিলেন। তবে ইন্দ্রাণীর মেয়ে শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে দুজনের নাম জড়ানোর পর থেকেই তাঁদের সম্পর্কে শীতলতার সূত্রপাত। এমনকী, শিনা বোরাকে অপরণের ছক কষেছিলেন বলেও স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই আদালতে দাবি করেন ইন্দ্রাণী। এ জন্য পিটারের মোবাইলের কল লিস্ট পরীক্ষা করার আবেদনও জানান ইন্দ্রাণী। তাঁর দাবি ছিল, অন্য একটি নম্বর থেকে শিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র চালিয়েছিলেন পিটার।
আরও খবর: বিশ্বকাপের জন্য হাজার হাজার কুকুর নিধন রাশিয়ায়?
মার্কিন অভিবাসন নীতির সমালোচনায় ট্রাম্প-পত্নী মেলানিয়া
২০১৬ সালে পিটারের আইনজীবী জানান, তিনি তাঁর স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চান। তারপর ২০১৭ সালে ইন্দ্রাণী আদালতের কাছে বিবাহবিচ্ছেদ মামলা দায়ের করার জন্যে অনুমতি চান। এরপর পিটারকে বিচ্ছেদের নোটিস পাঠান ইন্দ্রাণী। এতে সম্মতই হয়েছেন পিটার।