পিটার মুখোপাধ্যায়ের সব দাবিই খারিজ করল সিবিআই। সব জেনেও শিনা হত্যার কথা সচেতন ভাবেই গোপন করেছেন তিনি। সাফ জানিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শিনার সঙ্গে পুত্র রাহুলের সম্পর্কে বিন্দুমাত্র মত ছিল না পিটারের। বারবার চেয়েছেন যেন ভেঙে যায় এই সম্পর্ক। এই নিয়ে রাহুলের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ইমেল চালাচালি হয়ে তাঁর। সেই ইমেলগুলিই সংবাদমাধ্যমের হাতে আসায় বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কিছু পেতেই রাহুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন শিনা। একাধিক ইমেলে ছেলেকে এ কথাই বোঝাবার চেষ্টা করে গেছেন পিটার। শিনা ‘নিরুদ্দেশ’ হওয়ার পরে উদ্বিগ্ন রাহুল বাবাকে জানান শিনা সম্ভবত বিপদে পড়েছেন। শিনা একেবারে ঠিক আছে। উত্তরে এই বলেই ছেলেকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন পিটার। বলেছেন দরকারে রাহুল যেন ইন্দ্রাণীর সঙ্গে কথা বলেন।
তবে পিটারের কথা বিশ্বাস করেননি রাহুল। ‘‘মনে হয় না আমার আশঙ্কা অযৌক্তিক। কিন্তু জানি না আমার প্রশ্নের উত্তর কোথায় পাব।’’ বাবাকে ইমেলে জানান রাহুল। রাহুল জানতে পেরে ছিলেন দিদি নয়, ইন্দ্রাণী আসলে শিনার মা। যদিও সে কথা উড়িয়ে দিয়ে ছিলেন পিটার। উল্টে ছেলেকে মেল করে দাবি করেন, রাহুলকে ঠকিয়ে কোনও ধনী ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়েছে শিনা। ‘‘শিনা নয়, তোমার খুশি আর ভবিষ্যত আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ’’। ছেলেকে জানিয়ে ছিলেন পিটার।