শনিবার সকালে টুইটটা করেছিলেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। লিখেছিলেন, কবরের মধ্যে থাকা বুরহান অনেক বেশি শক্তিশালী। জীবিত বুরহানকে ছাপিয়ে যাবে মৃত এই জঙ্গির ক্ষমতা। দিনের শেষে কথাটাই দুর্ভাগ্যজনকভাবে যেন সত্যি হয়ে সামনে দেখা দিল।
অগ্নিগর্ভ কাশ্মীর বুরহানের মৃত্যুতে এখন জ্বলছে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কয়েক হাজার মানুষ তার শেষ যাত্রায় নেমে এসেছেন রাস্তায়। পুলিশ চৌকিতে আগুন, বিজেপি অফিসে হামলা, পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলি, বেশ কয়েক জনের মৃত্যু এবং আহত হওয়ার ঘটনার পরও উত্তেজনার আঁচ কমার কোনও লক্ষণ নেই। মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, বারামুলা-বানিহাল ট্রেন যাত্রা বন্ধ, শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আগুনকে রোখা যাচ্ছে কোথায়?
এ নিয়ে কোনও সংশয় নেই, কাশ্মীর আমাদের হৃদয়-যুক্তি ভাবনার অবিচ্ছেদ্যতা নিয়েই অত্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গায়। রাস্তায় যাঁরা বিক্ষোভে নেমে আসছেন, তাঁরা কিন্তু জঙ্গি নন, এই দেশেরই নাগরিক। এই অবস্থায় দায়িত্ব অতিরিক্তই এসে বর্তায় রাষ্ট্রের উপর। নাগরিকের স্বস্তি-অস্বস্তি, আনন্দ-বেদনা, প্রাপ্তি-ক্ষোভ সব নিয়েই রাষ্ট্রের সামগ্রিকতা। গুলির পথে অথবা ট্রেন-সড়ক- ইন্টারনেট বন্ধের পথে সমাধানের আশা ক্রমশ সুদূরপরাহত হওয়ার আশঙ্কা। স্পর্শকাতর এই সমস্যার নাড়াচাড়া হওয়া দরকার অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গেই। শনিবারের উপত্যকায় সূর্যাস্তের লালিমায় কিন্তু গনগনে আঁচই দেখা গেল।