ভাইচুং ভুটিয়া ও পবন কুমার চামলিং
বার্ধ্যকে ধরেছে ওঁকে। পায়েও জুত নেই তেমন। তাই ফুটবল ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে। এ ভাবেই প্রাক্তন ফুটবলার ভাইচুং ভুটিয়াকে বিঁধলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিং।
চামলিংয়ের বক্তব্য, ‘‘৩০ বছর ধরে উনি কলকাতার ফুটবল দলে খেলছেন। ইস্টবেঙ্গল হোক বা মোহনবাগান যে বেশি টাকা দিয়েছে, অমনি সেই দলে যোগ দিয়েছেন তিনি। সিকিমের ফুটবলারদের জন্য কিছুই করেননি। আবার এখন এসেছেন রাজনীতি করতে। আসলে বয়স হয়ে গিয়েছে। খেলতেও পারছেন না। তাই সম্বল শুধু রাজনীতি।’’
পূর্ব সিকিমের সারমাসা গার্ডেনে মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভাইচুংয়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দিন মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন চামলিং। তাঁর দাবি, সিকিমের অল্পবয়সী ফুটবলারদের জন্য এক বিন্দু সাহায্য করেননি ভাইচুং। রাজ্যে খেলার উন্নতি নিয়ে একটুও হেলদোল নেই ভাইচুংয়ের। তিনি কী ভাবে রাজনীতির ময়দানে পা রাখবেন সিকিম থেকে?
আরও পড়ুন: অনুষ্ঠানের ২৪ ঘণ্টা আগেই প্রণব নাগপুরে, কিন্তু সঙ্ঘের আপ্যায়ন থেকে দূরে
চামলিংয়ের কথায়, ‘‘ভাইচুংয়ের বয়স হচ্ছে। তাই খেলতে পারছেন না। কিছু একটা তো করতে হবে। অতএব পড়ে থাকল সেই রাজনীতি। দেখা যাক, ওঁর ভাগ্য ফেরে কি না।’’
প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ানোয় দক্ষ ফুটবলার এবা র নিজের রাজ্যে কী খেল্ দেখাতে পারেন, তা বলবে সময়। তবে চামলিংয়ের গড় সিকিমেই কয়েক দিন আগে আত্মপ্রকাশ করেছে ভাইচুংয়ের নতুন দল ‘হামরো সিকিম পার্টি’। সিকিমিজ স্নাইপারের এহেন উত্থানে রীতিমতো ক্ষেপে গিয়েছেন চামলিং। দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়েই রাজনীতির পথে হাঁটার কথা বলেছেন নামী ফুটবলার। প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে সিকিমের কুর্সিতে চামলিং। তাই তাঁকে সরাতে মরিয়া ভাইচুংও। এ দিন ভাইচুঙের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
কনিষ্ঠতম প্রতিপক্ষকে একচুলও জায়গা দিতে রাজি নন চামলিং। অনুষ্ঠানে সরাসরি ভাইচুংকে আক্রমণ করে সিকিমের ডেমোক্র্যাটিক ফন্টের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘‘কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে সিকিমে। রয়েছে শান্তির আবহাওয়া। এতে কি ভাইচুং সন্তুষ্ট নন? বরং তিনি নিজেই কোনও ফুটবলারকে সাহায্য করেননি।’’
প্রধান বিরোধী সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চাকে পাশে নিয়ে ‘ড্রিবল’ করে কতদূর এগিয়ে যাবে ভাইচুংয়ের হামরো সিকিম পার্টি, তা জানা যাবে আগামী বছরেই।