Patna Fire Case

পটনা গুলি-কাণ্ডে অনন্তের আত্মসমর্পণ

আত্মসমর্পণের পরে অনন্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আপাতত তাঁকে বেউর জেলে রাখা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪৬
Share:

মোকামার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিহারের রাজনীতিতে ‘ছোটে সরকার’ নামে পরিচিত অনন্ত সিংহ। —ফাইল চিত্র ।

দিন তিনেক আগে জালালপুর নৌরাঙ্গা গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় আত্মসমর্পণ করলেন মোকামার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিহারের রাজনীতিতে ‘ছোটে সরকার’ নামে পরিচিত অনন্ত সিংহ। গত বুধবারের ওই ঘটনায় অনন্তের ঘনিষ্ঠ সহযোগী উদয় যাদব গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ দিন আত্মসমর্পণের পরে অনন্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আপাতত তাঁকে বেউর জেলে রাখা হয়েছে।

Advertisement

গত বুধবার পটনার কাছে জালালপুর নৌরঙ্গা গ্রামে ঢোকার সময় জেডিইউয়ের এই বাহুবলী নেতা এবং তাঁর দলবলের উপরে হামলা চালায় সোনু-মনু গ্যাংয়ের লোকেরা। পাল্টা গুলি চালায় অনন্তের দলবলও। দু’পক্ষের এই গুলি বিনিময়ের মধ্যেই জখম হয় অনন্তের ঘনিষ্ঠ সহযোগী উদয়। পুলিশের এফআইআরে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে অনন্তের নাম ছিল। তার পরেই এ দিন আত্মসমর্পণ করেন প্রাক্তন বিধায়ক। পটনার এসএসপি অবকাশ কুমার বলেছেন, ‘‘প্রাক্তন বিধায়ক এ দিন বাঢ় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁকে বেউর জেলে পাঠানো হয়েছে।’’

শাসক জোটের অন্যতম শরিক জেডিইউয়ের নেতা হলেও অনন্তের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমারের সম্পর্ক মোটেই মসৃণ নয়। সে কারণে একবার দল ছেড়ে লালুপ্রসাদের আরজেডিতেও ভিড়েছিলেন অনন্ত। এমনকি কংগ্রেস-আরজেডির সাহায্য নিয়ে স্ত্রীকও ভোটে জিতিয়েছেন এই বাহুবলী নেতা। পরে ফের নীতীশের দলে ভিড়লেও দু’জনের টানাপড়েন অব্যাহত। সাতটা খুন, ১১টি খুনের চেষ্টা এবং চারটি অপহরণ-সহ মোট ৩৮টি মামলা রয়েছে এই বাহুবলী নেতার বিরুদ্ধে।

Advertisement

এ দিন আত্মসমর্পণের পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে অনন্ত বলেন, ‘‘সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। আমার নামে এফআইআর হয়েছিল বলে আমি আত্মসমর্পণ করেছি। এখন আমি জেলে চললাম।’’

জালালপুর নৌরঙ্গার গুলিকাণ্ডে পুলিশের কাছে তিনটি এফআইআর দায়ের হয়। তার একটি করেছিল অনন্তের সহযোগী উদয়। সেখানে সে হামলার দায় সোনু ও মনু নামে দুই দুষ্কৃতীর উপরে চাপিয়ে অভিযোগ করেছেন, ঘটনার দিন দুই ভাইয়ের হাতে ছিল একে-৪৭ রাইফেল। তারা খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই হামলা চালিয়েছিল কনভয়ে। সোনু-মনুর বাবা প্রমোদ সিংহ এবং ওই দলের দিলীপ সিংহ নামে দু’জন উদয়ের উপরে হামলা চালায় বলে পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছে উদয়। সোনু-মনু বা তাদের গোষ্ঠীর কেউই এখনও ধরা পড়েনি বলে
সূত্রের খবর।


আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement