রাহুল গাঁধী ও হার্দিক পটেল।
সমঝোতা চূড়ান্ত করে রবিবারই গুজরাত ভোটে নিজেদের প্রথম তালিকা প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস। তালিকায় নাম ছিল হার্দিক পটেলের সংগঠন ‘পাস’ (পাতিদার অনামত আন্দোলন সমিতি)-এর একাধিক নেতার। কিন্তু, তালিকা প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিবাদ স্পষ্ট হয়ে উঠল। পাস-এর কোর কমিটির এক নেতার অভিযোগ, তাঁদের অনুমতি ছাড়াই এই তালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
ওই কমিটির সদস্য দীনেশ ভামভানির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই সুরাতে কংগ্রেস কার্যালয়ে হামলা চালায় তাঁর অনুগামীরা।ওই পাস নেতার অভিযোগ, ললিত ভাসোয়া এবং নীলেশ পটেলের নাম রয়েছে কংগ্রেসেরপ্রকাশিত তালিকায়। কিন্তু, তাঁদের নাম তালিকায় রাখার বিষয়ে পাস-এর কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ দীনেশের। এ দিনের হামলার ঘটনার পরই অমদাবাদ-সহ রাজ্যের প্রতিটি কংগ্রেস কার্যালয়ে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের হাতে হাত হার্দিক পটেলের
আরও পড়ুন: তথ্য ফাঁস, মানলেন আধার কর্তৃপক্ষ
মূলত সংরক্ষণ ও আসন ভাগাভাগি নিয়ে দর কষাকষির জেরেই গুজরাত ভোটে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে দেরি করছিল কংগ্রেস। অবশেষে দীর্ঘ বৈঠকের পর রবিবার কংগ্রেস এবং হার্দিক পটেলের পাতিদার সংগঠন ঐকমত্যের কথা ঘোষণা করে। তার পরেই ৭৭ জনের নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। এর মধ্যে ১২ জন কোলি সম্প্রদায়ের, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ৮ জন, পাতিদার ২৩ জন এবং দলিত প্রার্থী ৭ জন। কিন্তু, সেই ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই হামলার ঘটনা ‘সমঝোতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।