প্রতীকী চিত্র
কারও সঙ্গে পুরনো যৌনসম্পর্ক থাকা মানেই তিনি সহবাসে সম্মতি দিয়েছেন তা নয়, একটি ধর্ষণ মামলায় এমনটাই রায় দিল দিল্লির এক আদালত। সেই মামলায় অভিযুক্ত এক সাংবাদিকের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত।
আদালতের বিচারক সঞ্জয় খানাগওয়াল বলেন, “ভারতীয় তথ্যপ্রমাণ আইনের ৫৩-এ ধারায় বলা হয়েছে কারও সঙ্গে পুরনো যৌনসম্পর্ক অন্য কোনও নির্দিষ্ট মামলার ক্ষেত্রে বিচার করা হবে না। কোনও নির্দিষ্ট ঘটনার ক্ষেত্রে সেই ঘটনার আগে মহিলার সম্মতি ছিল কিনা সেটা বিচার করে দেখা হবে। তাই এই মামলার ক্ষেত্রেও পুরনো ঘটনা বিচার করা হবে না।”
দিল্লি আদালতে দায়ের হওয়া মামলায় এক তরুণী অভিযোগ করেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি দিল্লির চাণক্যপুরীতে একটি পাঁচতারা হোটেলে মুম্বইয়ের এক সাংবাদিক তাঁকে ধর্ষণ করেন। অভিযোগের বিরুদ্ধে নিজের জামিনের আবেদনে আদালতে দাঁড়িয়ে ওই সাংবাদিক দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে ওই তরুণীর আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল। তরুণীই নাকি হোটেলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। নিজের দাবির পক্ষে দুজনের মধ্যে মেসেজে হওয়া কথোপকথনও দেখান তিনি।
এই দাবির বিরুদ্ধে তরুণীর আইনজীবীরা বলেন, ২০১৭ সাল থেকে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও ছিল। অভিযুক্ত দিল্লিতে একটি বিয়েবা়ড়িতে এসেছিলেন। তিনি যে হোটেলে উঠেছিলেন সেখানে তরুণীকে ডাকেন। কিন্তু তরুণী শারীরিক সম্পর্ক করতে চাননি। তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সাংবাদিক তাঁকে ধর্ষণ করেন।
পুলিশে অভিযোগ করার পর থেকেই সাংবাদিক পলাতক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করে পুলিশ। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।