শরদ পওয়ার (বাঁ দিকে) এবং নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
আগামী মাসে মহারাষ্ট্রে বসতে চলেছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র তৃতীয় বৈঠক। উদ্যোক্তাদের মধ্যে শিবসেনার পাশাপাশি, রয়েছে শরদ পওয়ারপন্থী এনসিপি-ও। কিন্তু ওই বৈঠকের কয়েক সপ্তাহ আগে পুণেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক মঞ্চ দেখা যেতে পারে বিরোধী জোটের অন্যতম ‘মুখ’ শরদকে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, একই মঞ্চে মোদী-শরদ থাকলে অস্বস্তি বাড়বে বিরোধী জোটের। তাই ওই অনুষ্ঠানে তিনি যেন না-যান তা বোঝাতে আগামিকাল শরদের দ্বারস্থ হতে পারে বিরোধী জোটের একটি প্রতিনিধি দল।
১ অগস্ট লোকমান্য তিলকের ১০৩তম প্রয়াণবার্ষিকীতে পুণেয় তাঁর নামাঙ্কিত পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে প্রধানমন্ত্রীকে। এই পুরস্কার প্রদানকারী তিলক স্মারক মন্দির ট্রাস্টের প্রধান দীপক তিলকের বক্তব্য, মোদী সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অভিযানে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছে, তাই প্রধানমন্ত্রীকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, শরদকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত শরদ ভাইপো তথা মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারও।
কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, ইন্ডিয়া যখন প্রচার এবং প্রসার ক্রমশ বাড়ানোর চেষ্টা করছে, তখন এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে পওয়ার মোদীকে সম্মানিত করলে খুবই বিভ্রান্তি তৈরি হবে। নেতিবাচক প্রভাব জোটেও পড়বে। শিবসেনা (উদ্ধবপন্থী) স্পষ্টই জানিয়েছে, এই ঘটনা ভাল দেখাবে না। কংগ্রেস, শিবসেনা, এনসিপি, আপ ও সিপিএমের কিছু নেতা আগামিকাল যাবেন শরদের কাছে।
শরদ শিবিরের রাজ্যসভা সাংসদ বন্দনা চহ্বানের কথায়, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে যিনি আমাদের দল ভাঙলেন এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন সেই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমাদের দলীয় প্রধানের এক মঞ্চে বসাটা ব্যক্তিগত ভাবে ঠিক বলে মনে করি না। আমি পওয়ারজিকে অনুরোধ করেছি না যাওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আমাকে জানিয়েছেন ওই অনুষ্ঠানে মোদীকে তিনিই আমন্ত্রণ করেছেন তিলক ট্রাস্টের অনুরোধে। সেটা অজিত পওয়ার দল ভাঙার
আগের ঘটনা।’’
এ নিয়ে উদ্ধবপন্থী শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের বক্তব্য, ‘‘যখন প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়া নামটি নিয়ে যা নয় তাই বলেন, এনসিপি-কে ভেঙে দেন, তখন এনসিপি-র প্রধানের শোভা পায় না প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানিত করা। তাঁর এই অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়া উচিত।’’