One Nation One Election

‘এক দেশ এক ভোট’ সম্পর্কে এ বার জনতার রায় নেবে জেপিসি, ওয়েবসাইটে জানানো যাবে মতামত

বিরোধীদের আপত্তির মাঝেই গত ১৭ ডিসেম্বর লোকসভায় ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত বিল পেশ করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর পরে বিলের খসড়া পর্যালোচনা ও পরিমার্জনের জন্য জেপিসি গঠন করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫ ২১:১৮
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকর করার বিষয়ে জনমত সংগ্রহের জন্য একটি ওয়েবসাইট আনছে সংশ্লিষ্ট যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)। জেপিসির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ পিপি চৌধরি এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এই বিষয়টিতে পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে এগোতে চাই। তাই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

Advertisement

বিরোধীদের আপত্তির মাঝেই গত ১৭ ডিসেম্বর লোকসভায় ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত বিল পেশ করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল এ সংক্রান্ত ১২৯তম সংবিধান সংশোধনী বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল সংসদের নিম্নকক্ষে পেশ করেন। এর পরে কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল জোড়া বিল নিয়ে ডিভিশনের দাবি তোলে। এ ক্ষেত্রে সংসদীয় বিধি মেনে কোনও বিল নিয়ে বিতর্কের আগে ভোটাভুটি করতে হয়। কারণ, ১২৯তম সংবিধান সংশোধনী বিলে ৮৩, ১৭২ এবং ৩২৭ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব রয়েছে।

সে দিনের ভোটাভুটিতে বিলের পক্ষে ভোট দেন সরকার পক্ষের ২৬৯ জন সাংসদ। বিপক্ষে ১৯৮ জন। ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল পেশের জন্য প্রথমে ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম’ এবং তার পরে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাভুটি হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘এক দেশ এক ভোট’ বিলের খসড়া নিয়ে সংসদের যৌথ কমিটিতে আলোচনা চান। এর পরে ১৮ ডিসেম্বর ‘এক দেশ এক ভোট’ বিলের খসড়ার পরিমার্জনের উদ্দেশ্যে গঠিত হয় যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)। সংবিধান সংশোধনী বিল পাশের জন্য লোকসভা এবং রাজ্যসভায় দুই-তৃতীয়াংশ সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন। অর্থাৎ, লোকসভায় ৩০৭ এবং রাজ্যসভায় ১৫৮, যা এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে নেই। ফলে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ‘ধীরে চলো’ নীতি নিতে চাইছে বলে মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement