ছবি সংগৃহীত।
সংসদের বাদল অধিবেশন সাধারণত জুলাইয়ের শেষে শুরু হয় প্রতি বার। করোনা পরিস্থিতিতে অগস্টের শেষে বা সেপ্টেম্বরের প্রথমে অধিবেশন শুরুর কথা ভাবা হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
যদিও অনেক সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেও পুরোদমে সংসদের বাদল অধিবেশন চালু করার মতো কার্যকরী মডেল এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। করোনাভাইরাস-এর সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে রাজধানীতে। এর মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতি দিন এত সাংসদ এবং সংসদ কর্মীর সমাবেশ ঘটানো কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছে সরকার। সংসদীয় সূত্রের খবর, ভাবা হয়েছিল বিজ্ঞানভবনের মতো জায়গায় অথবা সংসদেরই সেন্ট্রাল হলে এক দিন রাজ্যসভা, অন্য দিন লোকসভা এই ভাবে চালানো যেতে পারে কি না। কিন্তু সে সম্ভাবনাও খুব উজ্জ্বল নয়।
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, সরকারের কাছে এমন কিছু অত্যাবশ্যকীয় বিল অথবা অর্ডিন্যান্স নেই যা এখনই পাশ করাতে হবে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অবশ্য ধারাবাহিক ভাবে বলা হচ্ছে, অন্তত কিছু সদস্যের উপস্থিতিতে অধিবেশন চালু করা হোক, বাকিরা থাকুন ভিডিয়ো সংযোগে। তার কারণ, বিরোধী শিবির মনে করছে করোনাভাইরাসের কারণে অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকলে আখেরে লাভ সরকার পক্ষেরই। পূর্ব লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে বসে রয়েছে চিনা সেনাবাহিনী। গোটা বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরকারকে কোণঠাসা করার সেরা সুযোগ ছিল বাদল অধিবেশন। করোনা সংক্রমণ নিয়েও প্রশ্ন শানিয়ে রেখেছিল কংগ্রেস, তৃণমূল। কিন্তু অধিবেশন করা না গেলে বিতর্কিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার দায় থাকে না মোদী সরকারেরও। সংবিধান
অনুযায়ী সংসদের দু’টি অধিবেশনের মধ্যে ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবধান রাখা যেতে পারে। সেই অনুযায়ী এখনও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাতে সময়
রয়েছে সরকারের।