Gautam Adani

‘মোদী-ঘনিষ্ঠ’ আদানির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে অনড় বিরোধীরা, তবে বৈঠকে নেই তৃণমূল

আদানি-কাণ্ড নিয়ে অশান্তির জেরে শুক্রবার আবার মুলতুবি হল সংসদের বাজেট অধিবেশন। তবে শুক্রবার কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের বৈঠকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ গরহাজির রইল তৃণমূল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:০৫
Share:

আদানি-কাণ্ডের তদন্তের দাবিতে সংসদে আবার অশান্তি। ফাইল চিত্র।

আদানি-কাণ্ডে অশান্তির জেরে আবার মুলতুবি হল সংসদের বাজেট অধিবেশন। তবে শুক্রবার কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের বৈঠকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ গরহাজির রইল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার অধিবেশন শুরুর আগে কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভা সাংসদ মল্লিকার্জুন খড়্গের বৈঠকে শিবসেনা, ডিএমকে, এনসিপির পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও গিয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবারে বিরোধী জোটের বৈঠকে তৃণমূলের কোনও সাংসদকে দেখা যায়নি।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের পাশাপাশি যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গড়ে আদানি-কাণ্ডের অনুসন্ধানের দাবি তুলেছে বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার ‘প্রতারণা’ নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসা এবং শেয়ার বাজারের পতনের ঘটনার তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই জোড়া দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধী সাংসদেরা।

শুক্রবার আদানি-কাণ্ড নিয়ে আলোচনা এবং জেপিসি গড়ার দাবি নিয়ে সংসদের দু’কক্ষে সরব হন বিরোধীরা। শুরু হয় স্লোগান, পাল্টা স্লোগান। শেষ পর্যন্ত লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন বেলা ২ টো পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়। বিরোধীদের যুক্তি, এটি শুধু একটি শিল্প-গোষ্ঠীর সম্পদের মূল্য কমে যাওয়ার প্রশ্ন নয়। এর জেরে দেশবাসীর সঞ্চয় বিপন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।

Advertisement

কারণ, আদানির সংস্থার মাধ্যমে এলআইসি এবং স্টেট ব্যাঙ্কের তহবিল বিনিয়োগ হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষের জীবনভর উপার্জনের সঞ্চয় রয়েছে। বুধবার আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন শেয়ার ছাড়ার (এফপিও) প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরে আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুত তদন্ত এবং পদক্ষেপের প্রয়োজন।

সরকারি তত্ত্বাবধানে সেই তদন্ত প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ হবে না বলে প্রকাশ্যেই অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী সাংসদেরা। তাঁদের অভিযোগ, শুধু মোদী নন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ শাসক শিবিরের একাধিক প্রথম সারির নেতার সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’ রয়েছে আদানিদের। ফলে নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়। তবে বিরোধীরা দাবি জানালেও মোদী সরকার জেপিসির দাবি মানবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিরোধী শিবিরে।

পরিসংখ্যান বলছে, বিরোধীদের দাবি মেনে রাজীব গান্ধীর জমানায় বফর্স-কাণ্ড, নরসিংহ রাও সরকারের আমলে হর্ষদ মেহতার শেয়ার কেলেঙ্কারি এবং মনমোহন সিংহের সরকারের আমলে টু-জি স্পেকট্রাম বিক্রির ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে জেপিসি গড়া হলেও প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইস্তক সে পথ মাড়াননি মোদী। ললিত মোদীর আইপিএল-কাণ্ড, নীরব মোদীর ঋণ দুর্নীতি, রাফাল চুক্তির অস্বচ্ছতা নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement