প্রতীকী ছবি।
পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন স্থানীয়েরা। গন্ধটা আসছিল এক দৃষ্টিহীন দম্পতির বাড়ি থেকে। প্রথমে স্থানীয়েরা ভেবেছিলেন কোনও প্রাণী হয়তো কাছেপিঠে মরেছে। কিন্তু ওই দৃষ্টিহীন দম্পতির বাড়ির কাছাকাছি যেতেই গন্ধটা আরও তীব্র হয়। দম্পতিকে ডাকাডাকি করে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়েরা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভাঙে। তখনই দেখা যায়, ঘরের ভিতরে প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন দম্পতি। আর ওই ঘরের পাশের ঘর থেকেই পচা গন্ধ ভেসে আসছিল। পাশের ঘরে ঢুকতেই স্তম্ভিত হয়ে যায় পুলিশ। খাটের উপর পড়ে রয়েছে এক যুবকের পচাগলা দেহ। স্থানীয়দের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, ওই যুবক দম্পতির কনিষ্ঠ সন্তান। নাম কে প্রমোদ। তিনিই দষ্টিহীন বাবা-মায়ের দেখাশোনা করতেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধ দম্পতির মুখ থেকে গ্যাঁজলা বার হচ্ছিল। অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তাঁদের পুত্র প্রমোদের কী ভাবে মৃত্যু হল তা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, চার দিন আগে মৃত্যু হয়েছে প্রমোদের। বাবা-মা দৃষ্টিহীন হওয়ায় টের পাননি। প্রমোদই তাঁদের জন্য রান্না করতেন, খাওয়াতেন। চার দিন ধরে না খেতে পেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন দম্পতি। তা ছাড়া তাঁদের নড়াচড়ার ক্ষমতাও ছিল না। ফলে ঘরের ভিতরে কী হচ্ছে, প্রতিবেশীরাও টের পাননি।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, দম্পতির জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রদীপ কিছুটা দূরেই অন্য একটি বাড়িতে থাকেন। খবর যায় তাঁর কাছেও। পুলিশ ওই দম্পতির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। তার পর জ্যেষ্ঠ পুত্রের হাতে তুলে দেয়। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যুবকের মৃত্যু কী ভাবে হল তা স্পষ্ট হয়নি। তবে গভীর ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের নাগোলের ব্লাইন্ডস কলোনিতে।