প্রতীকী ছবি।
সুজিত উইলসনকে বাঁচানো যায়নি। বিপর্যয় মোকাবিলা, পুলিশ প্রশাসনের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সুড়ঙ্গেই মৃত্যু হয়েছে সুজিতের। তিরুচিরাপল্লির সেই সুজিতের মৃত্যুর সঙ্গেই জড়িয়ে গেল আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা। দু’বছরের সুজিতকে উদ্ধারের লাইভ সম্প্রচার টিভিতে দেখতে বাবা-মা এতটাই বুঁদ হয়ে ছিলেন যে, তাঁদের নিজের তিন বছরের শিশুকন্যা কখন যে বাথটাবে নেমে খেলতে শুরু করেছিল, তা টেরই পাননি। শেষ পর্যন্ত সেখানেই সলিল সমাধি হল তিন বছরের রেবতী সঞ্জনার।
ঘটনা তিরুচিরাপল্লি থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে তামিলনাড়ুরই তুতিকোরিন জেলার থ্রেসপুরম গ্রামের। তিরুচিরাপল্লিতে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া সুজিত উইলসনকে উদ্ধারে সমান্তরাল সুড়ঙ্গ কাটা চলছিল সোমবার রাত পর্যন্ত। সুজিতকে মৃত অবস্থায় উপরে তুলে আনেন উদ্ধারকারীরা। গোটা পর্ব টিভিতে অত্যন্ত আগ্রহ ও মনোযোগ দিয়ে দেখছিলেন রেবতীর বাবা-মা।
পুলিশ জানিয়েছে, বাবা-মা যখন টিভিতে মগ্ন, তখনই আপন খেয়ালে বাথরুমে চলে গিয়েছিল রেবতী। সেখানে বাথ টাবের জলে খেলতে খেলতেই জলে ডুবে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পরে তাঁদের রেবতীর কথা মনে পড়ার পরে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বাথরুমে গিয়ে দেখেন, বাথটাবের জলে ভাসছে রেবতী। সঙ্গে সঙ্গে নিথর ছোট্ট রেবতীকে জল থেকে তুলে অনেক চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি তাঁরা। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পডু়ন: আশি ঘণ্টার লড়াই শেষ, সব চেষ্টা ব্যর্থ, সুড়ঙ্গেই মৃত্যু দু’বছরের সুজিতের
আরও পড়ুন: ৫ বছর আমিই মুখ্যমন্ত্রী থাকব, বলে দিলেন ফডণবীস, সেনা অনড়ই
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে খেলতে খেলতে একটি সুড়ঙ্গে পড়ে যায় তিরুচিরাপল্লির সুজিত উইলসন। চার দিন পর তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে সোমবার রাতে। এই ঘটনা গোটা দেশেই আলোড়ন ছড়ায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই উদ্ধার পর্বের লাইভ সম্প্রচার দেখেছেন। সেই দলে সামিল হয়েছিলেন রেবতীর বাবা-মাও। কিন্তু তার খেসারত যে নিজের শিশুকন্যার বিনিময়ে দিতে হবে, তাভাবেননি। এখন শোকে পাথর রেবতীর বাবা-মা।