আমি যখন আমার দুই মেয়ে, ভূমিকা এবং গরিমাকে বড় হতে দেখেছি – আমার কোথাও গিয়ে মনে হয়েছিল যে আমার পরিবারকে সম্পূর্ণ করতে আরও এক সন্তানের প্রয়োজন। যদিও লকডাউন আমার পরিবারের জন্য বিভিন্ন খারাপ খবর নিয়ে হাজির হয়েছিল। এরই মধ্যে ২০২১ সালে আমার তৃতীয় সন্তানের আগমন ছিল যেন আশীর্বাদের মতো ছিল।
আমার ছোট ছেলে চিরঞ্জীব। তার আগমন যেন আমার পরিবারের হারানো হাসি ফিরিয়ে দিয়েছিল। আমার মেয়েরা তাদের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সারাদিন খেলা করত। কিন্তু মাত্র ৬ মাস বয়সে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং আজ সে ফুসফুসের এক জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য অপেক্ষা করছে।
গুরুতর শ্বাসকষ্টের সঙ্গে সঙ্গেই তার গ্যাস্ট্রিক এবং ডুওডেনাল ফাটলের সমস্যা ধরা পড়ে। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকেই চিরঞ্জীবের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কোনও কিছু না বুঝতে পেরে অসহায়ের মতো আমরা হাসপাতালে ছুটে যাই। চিকিৎসকেরা আমার ছোট্ট শিশুটিকে অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যায়।
সেদিন থেকেই চিরঞ্জীব আইসিইউতে রয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। ধারাবাহিক ভাবে তার চিকিৎসা করতে আমাদের ৪ লক্ষ টাকার প্রয়োজন।
চিরঞ্জীবের বাবা, গজানন্দ, একজন কৃষক। প্রতি মাসে আয়ও খুব কম — ৫০০০ থেকে ৭৫০০ টাকা। একে ছয় সদস্যের একটি পরিবারকে চালনো তো কঠিন ছিলই। তার উপরে এই বিপুল চিকিৎসার খরচ তাঁর কাছে কল্পনাতীত, জানিয়েছেন চিরঞ্জীবের মা।
তিনি আরও জানান, ”যেহেতু হাসপাতালটি তাঁদের বাড়ি থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে, গজানন্দ আমার ছেলের সঙ্গে হাসপাতালেই থাকছেন। আমি বাড়িতে আমার অন্যান্য বাচ্চাদের দেখাশোনা করি।”
“চিরঞ্জীবের চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের জন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে, আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের সমস্ত সঞ্চয় নিঃশেষ করেছি। গজানন্দের উপার্জন আমার পরিবারের জন্য কখনই যথেষ্ট ছিল না। আমার শাশুড়ির স্বাস্থ্যও খারাপ হতে শুরু করেছে। আমার সন্তানের জীবন বাঁচানোর জন্য কোন সঞ্চয় অবশিষ্ট নেই।”
“চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেছেন যে যথাযথ চিকিত্সার মাধ্যমে আমাদের সন্তান সুস্থ হয়ে উঠবে। আমার সন্তানের সার্জারির জন্য 8 লক্ষ টাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে আপনারাই পারেন আমার ফুটফুটে ছেলের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে।”
এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন। কেটো-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।